—প্রতীকী চিত্র।
বিদেশ থেকে পার্সেল করে পাঠানো হত গাঁজা, কোকেনের মতো মাদক। ওই ঘটনায় বর্ধমান-সিউড়ি রোডের ধারে একটি হোটেল থেকে কলকাতার এক যুবককে গ্রেফতার করল গুজরাতের আমদাবাদ সিটির সাইবার থানার পুলিস। ধৃতের নাম কার্তিক রাজবংশী।
পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতার দক্ষিণ বন্দর থানার মোমিনপুরে কার্তিকের বাড়ি। সোমবার বিকেলে বর্ধমান থানার সাহায্য নিয়ে গুজরাত পুলিশের আধিকারিকরা তাঁকে গ্রেফতার করেন। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে তোলা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে গুজরাতে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা জানান সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী অফিসার ইন্সপেক্টর পি এইচ মাকোয়ানয়। এ জন্য তিনি ৯৬ ঘণ্টার ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন জানান। সেই আবেদন মঞ্জুরও করেছেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম। ধৃতকে ৬ জানুয়ারির মধ্যে আমদাবাদের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন বিচারক। পাশাপাশি ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সিজেএম আদালতে রিপোর্ট পেশেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ এবং আদালত সূত্রে খবর, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর গুজরাতের একটি অফিসে ১৯টি পার্সেল পৌঁছেছে। পার্সেল দেখে সন্দেহ হয় কর্মীদের। বিষয়টি পুলিশকে জানায় তারা। পরে ওই পার্সেলের প্যাকেট থেকে মোট ৫ কেজি ৯২৭ গ্রাম গাঁজা মেলে। যার বাজারদর অন্তত ৪৭ লক্ষ ৭৬ হাজার ৮৯৯ টাকা বলে জানিয়েছে গুজরাত পুলিশ। এ ছাড়াও একটি পার্সল থেকে ২ কেজি ৩১০ গ্রাম কোকেনও পাওয়া যায়। তার মূল্য ২ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা। গুজরাত পুলিশের অনুমান, বিদেশ থেকে মাদক আমদানি করে বিভিন্ন জায়গায় ছড়ানোর পরিকল্পনা হয়েছিল। এ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে আমদাবাদ সিটি সাইবার ক্রাইম থানা।
মাদকের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি আইনে পার্সেল প্রেরণকারী এবং প্রাপকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। তদন্তে নেমে ফোন নম্বরের সূত্র ধর কার্তিকের জড়িত থাকার বিষয়টি জানতে পারে সাইবার থানা। তার পর তাঁর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন অনুসরণ করে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy