বধূ খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার কাঁকসার অযোধ্যা গ্রামের ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বছর নভেম্বরে অযোধ্যার বাসিন্দা শ্যামাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আউশগ্রামের পোগ্রামের পূর্ণিমা রায়ের (১৯) বিয়ে হয়। বধূর বাবা রণজিৎ রায়ের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত পণের দাবিতে তাঁর মেয়ের উপর নির্যাতন চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা। মেয়েকে খুনের হুমকি দেওয়া হতো বলেও অভিযোগ।
রণজিৎবাবু জানান, গত ১ জুলাই তিনি অযোধ্যারই এক বাসিন্দা মারফত খবর পান তাঁর মেয়েকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। বধূর বাপের বাড়ির লোকজন অযোধ্যায় এসে দেখেন পূর্মিমাদেবীর শ্বশুরবাড়ি ফাঁকা। গত ৬ জুলাই হাসপাতালেই মারা যান পূর্ণিমাদেবী। রণজিৎবাবুর অভিযোগ, শ্যামাপ্রসাদ-সহ শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যরাও পরিকল্পিতভাবে মেয়েকে আগুন দিয়ে খুন করেছে। মঙ্গলবার সকালে কোকওভেন থানায় পূর্ণিমাদেবীর দেহ বাপের বাড়ির লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দেহ তুলে দিতে দেরি হওয়ার অভিযোগ করে বাপের বাড়ির লোকজন পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তবে পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।