Advertisement
০৩ মে ২০২৪

বউকে মেরে ফোন থানায়, ধৃত

পুলিশ জানায়, পুঁচরা গ্রামে স্ত্রী বন্দনাদেবী (৫০), দুই ছেলেকে নিয়ে সংসার পেশায় রাঁধুনি শান্তির। সন্ধ্যা সাতটা-সাড়ে সাতটা নাগাদ বড় ছেলে সুমন্তবাবু ও ছোট ছেলে প্রশান্তবাবু দু’জনেই কর্মস্থলে ছিলেন।

শোকার্ত ছেলে। নিজস্ব চিত্র

শোকার্ত ছেলে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৭ ০০:০৭
Share: Save:

সন্ধ্যা আটটা। ‘বউকে মেরে দিয়েছি। পুলিশে ফোন কর।’— বন্ধুর মুখে এ কথা শুনে খানিক হকচকিয়েই গিয়েছিলেন পরিচিতরা। সেই পরিচিতরাই শেষমেশ ফোন করেন থানায়। তার পরে সোমবার রাতে বারাবনি থানার পুলিশ এসে স্ত্রী-কে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করে পুঁচরা গ্রামের বাসিন্দা শান্তি চক্রবর্তীকে।

পুলিশ জানায়, পুঁচরা গ্রামে স্ত্রী বন্দনাদেবী (৫০), দুই ছেলেকে নিয়ে সংসার পেশায় রাঁধুনি শান্তির। সন্ধ্যা সাতটা-সাড়ে সাতটা নাগাদ বড় ছেলে সুমন্তবাবু ও ছোট ছেলে প্রশান্তবাবু দু’জনেই কর্মস্থলে ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে প্রশান্ত পুলিশকে জানান, মা বন্দনাদেবী বারাবনি ব্লকের একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী। সোমবার সকালে দুই ভাই বাড়ি থেকে বেরনোর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের বাবা শান্তিও গ্রামের একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে রান্নার কাজ করতে চলে যান। পড়শিদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ১০টা নাগাদ কাজে যান বন্দনাদেবীও। প্রশান্তবাবু বলেন, ‘‘সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিলাম। সেই সময়েই এক বন্ধু ফোনে জানায়, বাবা খুন করেছে মাকে। বাড়ি ফিরে মায়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখি। দাদাকেও তড়িঘড়ি ফোন করি।’’ সুমন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। দেহটি উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়না-তদন্ত করিয়েছে পুলিশ।

ঘটনার তদন্তকারীরা জানান, কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রী’কে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় খুন করেছেন শান্তি। খুনের পরেই তিনি পাশের গ্রামে পরিচিত কয়েক জনের সঙ্গে দেখা করেন। পুলিশের দাবি, সেখানেই নিজের কৃতকর্মের কথা স্বীকার করেন শান্তি। এমনকী পুলিশে ফোন করার জন্যও বলেন। শান্তির পরিচিতদের কাছ থেকে ফোন পেয়ে বারাবনি থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।

কেন এই খুন? তদন্তাকারীদের অনুমান, পারিবারিক বচসা থেকেই এই ঘটনা হতে পারে। পুলিশ জানায়, পড়শিদের সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় প্রতি দিনই নেশা করে বাড়ি ফিরতেন শান্তি। নেশা করাকে কেন্দ্র করে স্ত্রী এবং দুই ছেলের মধ্যে প্রায়ই পারিবারিক বিবাদ হতো বলেও পুলিশের দাবি।

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস বলেন, ‘‘ধৃতের বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলা রুজু হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Police Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE