গত বছর রাখির বাজারেও দুই ফুলের ভাল টক্কর দেখা গিয়েছিল। ঘাসফুলের ছাপ দেওয়া রাখির সঙ্গে বিক্রেতাদের পসরায় জায়গা করে নিয়েছিল পদ্ম-ছাপ রাখিও। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখের ছবি দেওয়া রাখির পাশে ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছবি দেওয়া রাখিও। মাঝে বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে হারিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। আর তার পরেই, এ বার রাখির বাজারে দাপট বেশি ঘাসফুলেরই।
বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, প্রতি বছর রাখির বাজারে ‘ছোটা ভীম’, ‘ময়ূর রাখি’, সুতোর রাখি, ফুলের রাখির ভাল চাহিদা থাকে। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের ছবি বা দলের প্রতীক দেওয়া রাখি বিক্রিতে কে কাকে টেক্কা দিচ্ছে, তা নিয়েও চর্চা চলে। বিক্রেতাদের অনেকের দাবি, এ বার সেখানে এগিয়ে তৃণমূল নেত্রীই। রবিবার রাখি পূর্ণিমা। বর্ধমান শহরের বিসি রোডের দু’দিকে ইতিমধ্যে পসরা সাজিয়েছেন অনেক বিক্রেতা। বৃহস্পতিবার দেখা যায়, প্রায় সব দোকানেই মমতার ছবি দেওয়া রাখি মিলছে। ব্যবসায়ীদের অনেকের দাবি, রাখি পূর্ণিমার দিনে বহু জায়গায় নানা রাজনৈতিক দলের তরফে রাখিবন্ধন অনুষ্ঠান হয়। সেখানে দলের প্রতীক বা নেতানেত্রীর ছবি দেওয়া রাখি বিতরণ হয়। তাই সে সব রাখি প্রচুর বিক্রি হয়। এক বিক্রেতা ময়না দাসের কথায়, ‘‘দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ছবি দেওয়া রাখির চাহিদা বেশি। তাই এই রাখি বেশি পরিমাণে তুলেছি। বিক্রি ভালই হচ্ছে।’’ ব্যবসায়ী বরুণ দাস, অজিত সোনকারদের দাবি, ‘‘গত কয়েকবছরে পদ্ম ছাপ বা মোদীর ছবি দেওয়া রাখি ভাল বিক্রি হলেও, এ বার তেমনটা নেই।’’
তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডুর দাবি, ‘‘উন্নয়ন থেকে জনপ্রিয়তা— সব দিক থেকেই দিদি (মমতা) অন্যদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। রাখিতেও তা ধরা পড়ছে।’’ যদিও বিজেপির দাবি, রাখির উৎসবকে দিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি মাপা ঠিক নয়। বর্ধমানের বিজেপি নেতা সন্দীপ নন্দীর বক্তব্য, ‘‘উৎসবের রাজনীতি হয় না। যে কেউ যে কোনও রাখি কিনতে পারেন। এ নিয়ে কোনও বক্তন্য নেই।’’