চলছে পরিদর্শন। নিজস্ব চিত্র
সার্বিক মানোন্নয়নের লক্ষ্যে কাটোয়া হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত খুঁটিনাটি পরিদর্শন করলেন শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের একটি প্রতিনিধি দল। জানা গিয়েছে, শুক্রবার ওই পরিদর্শনে হাসপাতালের ভাঙা দরজা, জানালা সারানোর কথা বলেন পরিদর্শনকারীরা। রান্নাঘর দেখেও ক্ষোভ জানান। খামতি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন কাটোয়া হাসপাতালের সুপার রতন শাসমল।
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্র সরকারের ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযানে’র অন্তর্গত স্বাস্থ্য বিভাগের ‘কায়াকল্প’ প্রকল্পের লক্ষ্য হল হাসপাতালের বহির্বিভাগ, আপদকালীন বিভাগের পরিচ্ছন্নতা বিচার করা। মহকুমা, স্টেট জেনারেল ও গ্রামীণ হাসপাতালগুলোর মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন পরিদর্শনও হয় সে কারণে। ওই প্রকল্পেই কাটোয়ায় এসেছিলেন শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত বিশ্বাস-সহ পাঁচ জনের দলটি।
হাসপাতাল সুপার জানান, গত বছর এই প্রকল্পে রাজ্যে তৃতীয় স্থান পেয়েছিল এই হাসপাতাল। ২০১৭ সালে পেয়েছিল প্রথম স্থান। পুরষ্কৃত হয়েছিলেন হাসপাতালের বেশ কিছু কর্মী। এ দিনও নার্সিং কর্মী ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের কাজ দেখে সন্তুষ্ট পরিদর্শনকারী দল। তবে হাসপাতালের রান্নাঘর দেখে সন্তুষ্ট হননি তাঁরা। রান্না করা ও পরিবেশনের সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, রান্নাঘর আরও পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। না হলে বর্ষায় অপরিচছন্ন জল ও খাবার থেকে রোগীদের পেটের রোগ দেখা দিতে পারে, সে আশঙ্কার কথাও জানান ওই দলের সদস্যেরা।
এ ছাড়াও আপদকালীন বিভাগের শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর উপর জোর দেন তাঁরা। দিন দিন রোগীর চাপ বাড়তে থাকায় পরীক্ষাগারের জায়গা বাড়ানোর বিষয়েও জোর দেওয়া হয়। পুরুষ, মহিলা ও শিশু বিভাগের দেওয়ালে রঙ করা, দেওয়ালের স্যাঁতসেতে ভাব দূর করা, ভাঙা দরজা, জানলা সারাই, মেঝে মেরামত করতেও বলা হয়।
কালনা হাসপাতালেও এ দিন পরিদর্শন করেন নবদ্বীপ হাসপাতালের সুপার বাপ্পা ঢালি-সহ পাঁচ জনের একটি প্রতিনিধি দল। বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন তাঁরা। রোগীদের সঙ্গে কথাও বলেন। কালনা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই জানান, সরকারি নিয়মেই এই পরিদর্শন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy