Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

উঠল ইন্টার্নদের বিক্ষোভ

গত রবিবার গলসির সাহেব রুইদাস নামে এক যুবক পেটের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এ দিন সকাল ৮টায় মারা যান তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, মৃত্যুর ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার কথা।

হাসপাতাল সুপারের অফিসের সামনে ইন্টার্নেরা। নিজস্ব চিত্র

হাসপাতাল সুপারের অফিসের সামনে ইন্টার্নেরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০২
Share: Save:

৪৮ ঘণ্টা পরে উঠল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্নদের অবস্থান বিক্ষোভ। মঙ্গলবার সকালেও ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ লেখা পোস্টার হাতে হাসপাতাল সুপারের অফিসের সামনে দেখা যায় ইন্টার্নদের। তবে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বিক্ষোভ তুলে নেন তাঁরা। বিক্ষোভের কিছুটা প্রভাব পড়ে পরিষেবাতেও।

গত রবিবার গলসির সাহেব রুইদাস নামে এক যুবক পেটের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এ দিন সকাল ৮টায় মারা যান তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, মৃত্যুর ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এ দিন দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ওই পরিবার দেহ হাতে পাননি। মৃতের কাকা জিতেন রুইদাস বলেন, “শুনলাম ডাক্তারবাবুরা মিটিংয়ে গিয়েছেন। তাই কাগজ হতে দেরি হচ্ছে।” যদিও ইন্টার্নদের দাবি, পিজিডি ও অন্যান্যরা কাজ করছেন, ফলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ জানুয়ারি এক মহিলা ইন্টার্নের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ উঠে এক মানসিক রোগীর বিরুদ্ধে। সঞ্জয় পণ্ডিত নামে বাঁকুড়ার ওই যুবককে গ্রেফতারও করে পুলিশ। যদিও তাঁর পরিবারের দাবি, অসাবধানতা বশত ঘটনাটি ঘটেছে। উল্টে অভিযোগকারী ইন্টার্ন তাঁদের কাগজপত্র ছিঁড়ে দিয়েছেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেন তাঁরা। ওই দিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহা জানিয়েছিলেন, হাসপাতালে কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। ওই মহিলা ইন্টার্ন থানায় অভিযোগ করেছেন। ওই পরিবারের তরফেও থানায় পাল্টা অভিযোগ করা হয়। ওই ঘটনা নিয়েই সোমবার থেকে বিক্ষোভ শুরু করেছেন ইন্টার্নেরা।

এ দিন সকালে হাসপাতালে আসেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল সুহৃতা পাল। তিনিও কথা বলেন ইন্টার্নদের সঙ্গে। তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। পরে জরুরি ভিত্তিতে কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকও করা হয়। প্রিন্সিপ্যাল জানান, বৈঠকে শুধু মাত্র এই বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে কলেজ ইন্টানর্দের পাশে থাকবে। হাসপাতলের সুপার বাইরে থাকায় বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে পারেননি। ডেপুটি সুপারকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে সমস্যা মিটিয়ে ইন্টার্নদের কাজে ফেরার পরামর্শ দেন স্থানীয় বিদায়ী কাউন্সিলর ও হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য সুশান্ত প্রামাণিক।

পরে প্রিন্সিপ্যাল বলেন, ‘‘আমরা সব দিক থেকে মেয়েটির পাশে রয়েছি। মিটিংয়ের রেজ্যুলেশনও আন্দলনকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Burdwan Medical College and Hospital Protest Intern
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE