Advertisement
E-Paper

শুকিয়েছে নদী, সমস্যা চাষে

প্রায় চার দশক আগে এলাকায় চাষের সুবিধার জন্য বাঁকা নদীর উপরে তৈরি হয় সেচ প্রকল্প। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এ বছর নদীর জল তলানিতে ঠেকায় অকেজো সেচ প্রকল্পগুলি। কালনা, মন্তেশ্বর, মেমারির বহু গ্রামের চাষিদের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতিতে ধান চাষে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৪৭
অকেজো সেচপ্রকল্প। নিজস্ব চিত্র।

অকেজো সেচপ্রকল্প। নিজস্ব চিত্র।

প্রায় চার দশক আগে এলাকায় চাষের সুবিধার জন্য বাঁকা নদীর উপরে তৈরি হয় সেচ প্রকল্প। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এ বছর নদীর জল তলানিতে ঠেকায় অকেজো সেচ প্রকল্পগুলি। কালনা, মন্তেশ্বর, মেমারির বহু গ্রামের চাষিদের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতিতে ধান চাষে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে।

কালনা মহকুমার মধ্যে সব থেকে বেশি বোরো ধানের চাষ হয় মন্তেশ্বর ব্লকে। এ ছাড়া মেমারি ও কালনায় আলু চাষও হয় প্রচুর। কিন্তু জল না মেলায় উকসপুর, আহিরা, খরজ, শিকারপুর, মহিষপুর প্রভৃতি নদী লাগোয়া গ্রামগুলিতে চাষের ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে বল জানান বাসিন্দারা।

চাষিরা জানান, সপ্তাহ দুয়েক আগে বোরো চাষ শুরু হয়েছে। এই সময় চাষে প্রচুর পরিমাণে জল দরকার হয়। অথচ স্থানীয় চাষি সঞ্জয় মণ্ডল, জাকির মণ্ডলেরা বলেন, ‘‘মাস খানেক ধরে সেচ প্রকল্প থেকে জল মিলছে না। কী ভাবে ধান গাছ বাঁচানো যাবে, জানি না।’’ মেমারির আলু চাষি পরিমল সেন বলেন, ‘‘অন্যান্য বার এই সময় কিছুটা বৃষ্টি হয়। কিন্তু এ বার মাস দুয়েক ধরে বৃষ্টিরও দেখা নেই। ফলে সমস্যা বেড়েছে।’’

এই পরিস্থিতিতে ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার দাবি করেছেন চাষিরা। একই সঙ্গে তাঁদের ক্ষোভ, ‘‘বহু বছর নদী সংস্কার হয়নি। ফলে এক দিকে জলধারণ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। আবার বর্ষায় গ্রাম ভেসে যাচ্ছে জলে।’’ সমস্যার কথা স্বীকার করে মন্তেশ্বরের বিডিও শাশ্বত দাঁ বলেন, ‘‘বিষয়টি মহকুমাশাসকের নজরে আনা হয়েছে। কী ভাবে সমস্যার মোকাবিলা করা যায়, সে বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়েছে।’’

Farming
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy