Advertisement
E-Paper

পাঁচ ঘণ্টার জট জাতীয় সড়কে

জাতীয় সড়কে চাকা খুলে গিয়ে মাঝ রাস্তায় হেলে গেল তুষ বোঝাই একটি বড় ট্রাক। পাল্লা ভেঙে তুষের বস্তা গিয়ে পড়ল রাস্তায়। ক্রেন দিয়ে ওই ট্রাক তোলার আগে পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ হয়ে থাকল দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে বা ২ নম্বর জাতীয় সড়ক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:০৫
এক্সপ্রেসওয়েতে পড়ে রয়েছে ট্রাক। নিজস্ব চিত্র

এক্সপ্রেসওয়েতে পড়ে রয়েছে ট্রাক। নিজস্ব চিত্র

জাতীয় সড়কে চাকা খুলে গিয়ে মাঝ রাস্তায় হেলে গেল তুষ বোঝাই একটি বড় ট্রাক। পাল্লা ভেঙে তুষের বস্তা গিয়ে পড়ল রাস্তায়। ক্রেন দিয়ে ওই ট্রাক তোলার আগে পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ হয়ে থাকল দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে বা ২ নম্বর জাতীয় সড়ক। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা থেকে ট্রাক সরাতে পুলিশের এত সময় লাগল কেন, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকা যাত্রীরা। জেলা পুলিশের (ট্র্যাফিক) দাবি, রাস্তা থেকে তুষের বস্তা সরানো, তার পরে গাড়ির চাপ কমিয়ে তবেই ক্রেন দিয়ে উল্টে যাওয়া ট্রাকটিকে সরাতে হয়েছে। সে জন্যেই সময় লেগেছে।

শুক্রবার ভোর ৫টা নাগাদ বিপত্তিটি ঘটে বর্ধমানের ফাগুপুর মোড় থেকে এক কিলোমিটার দূরে চাঁড়ুল মোড়ে। রায়নার একটি চালকল থেকে ধানের তুষ নিয়ে দুর্গাপুরের দিকে যাচ্ছিল একটি ট্রাক। হঠাৎ চালকের দিকে থাকা চাকা খুলে যায়। গাড়িটি ডান দিকে হেলে যেতেই প্রায় ৭০ বস্তা তুষ রাস্তায় পড়ে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চালক রাস্তার ডিভাইডারের ধারে ট্রাকটিকে অনেকটা আড়াআড়ি ভাবে রেখে দিয়ে পালিয়ে যান। তার জেরেই অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে টহলে থাকা পুলিশের গাড়ি এসে প্রাথমিক ভাবে যানজট সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু, বেলা বাড়তেই কলকাতা ও দুর্গাপুরমুখী দু’টি লেনেই গাড়ির চাপ বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায়।

সকাল ৮টা নাগাদ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, নিয়ন্ত্রণহীনভাবে কলকাতামুখী লেনে গাড়ি যাতায়াত করছে। ওই লেনেই যাচ্ছে উল্টোমুখী গাড়িও। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই লেনে গাড়ির জট লেগে যায়। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে বাস, ট্রাক এবং অন্যান্য গাড়ি। ফলে, ওই লেন দিয়েও যাতায়াত বন্ধ হয়ে পড়ে। একটা সময়ে দেখা যায়, কলকাতামুখী লেনে দু’কিলোমিটার জুড়ে এবং প্রায় ৫ কিলোমিটার জুড়ে দুর্গাপুরমুখী লেনে গাড়ির ভিড়। এ দিন বাঁকুড়া থেকে কলকাতা যাচ্ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া সৌম্য সরকার। বেসরকারি সংস্থায় কাজে যাচ্ছিলেন দুর্গাপুরের রিতা দে। তাঁদের কথায়, “তাড়াতাড়ি যাব বলে ভোরেই বেরিয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু এ ভাবে যানজটে আটকে যাব ভাবিনি। একটা ট্রাক তুলতে পুলিশের এত সময় লাগে?” একই প্রশ্ন তোলেন অন্য যাত্রীরাও।

সাড়ে ৮টা নাগাদ চারটি গাড়িতে আরও পুলিশকর্মীরা এসে প্রথমেই রাস্তায় পড়ে থাকে তুষের বস্তা সরিয়ে ফেলেন। এর পরে গাড়িতে থাকা তুষের বস্তা নামিয়ে রাস্তার ধারে রাখে। গাড়ির-জটে আটকে পড়ে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুল্যান্সও। তার মধ্যেই গোহগ্রাম থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাওয়া একটি অ্যাম্বুল্যান্সকে রাস্তা থেকে নামিয়ে জমি দিয়ে বর্ধমান যাওয়ার পথ করে দেয় পুলিশ। গাড়ির চাপে দীর্ঘক্ষণ রাস্তা পারাপার করতে পারেননি বিভিন্ন দফতরের কর্মী থেকে আবাসনের বাসিন্দারা।

চাঁড়ুল মোড়ে জটে আটকে থাকা গাড়ির চাপ কমানোর পরে পুলিশ ক্রেন নিয়ে এসে ট্রাককে সরানোর বন্দোবস্ত করে। ততক্ষণে ঘড়ির কাঁটায় দশটা বেজেছে। দেরি হলেও যানজট ছাড়ায় হাঁফ ছেড়ে গন্তব্যস্থলের দিকে রওনা দেয় আটকে থাকা গাড়িগুলি। অন্য দিকে, এ দিন ওই রাস্তার উপরেই নবাবহাটের কাছে পিক-আপ ভ্যানের ধাক্কায় জখম হন গড় তালিত গ্রামের মাছ-ব্যবসায়ী তারক কনুই। আহতকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Truck National Highway
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy