একা একাই রাস্তা অবরোধ করলেন এক যুবক। আর তার জেরে নাকাল হল গোটা পাড়া। পুলিশ-দমকল এনে তবে মুক্ত হল সেই রাস্তা। সেই অবরোধকারী এখন বর্ধমানের বোরহাটের একটি মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঠিক কী হয়েছিল সে দিন?
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বছর আটাশের শঙ্কু মজুমদারের বাড়ি স্থানীয় নীলপুরের মুচিপাড়া সংলগ্ন সেন্ট্রাল পার্কে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎই বাড়ির সামনের রাস্তায় আদুল গায়ে দাঁড়িয়ে চিৎকার করতে শুরু করেন তিনি। গলার শির ফুলিয়ে বলতে থাকেন, ‘‘এই রাস্তা আমার। কাউকে এখান দিয়ে যেতে দেব না।’’ প্রথমে বিষয়টি হালকা ভাবেই নিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কেউ কেউ ঠাট্টার সুরে তাঁর দাবিকে সমর্থন করে যান। কিন্তু সময় যত বাড়তে থাকে তত বাড়তে থাকে শঙ্কুর জেদ। এক পড়শি মহিলা ওই রাস্তা দিয়ে যেতে চাইলে তাঁকে মারধর করে শঙ্কু। এরপরেই পাড়ার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে শঙ্কুকে ঘিরে ফেলে। অবস্থা বেগতিক দেখে বাড়ির ভিতর ঢুকে দোতলার ছাদে উঠে যান শঙ্কু। তার পর নীচের ভিড় লক্ষ্য করে ইটের টুকরো ছুঁড়তে শুরু করেন। প্রথমে পিছু হটলেও শঙ্কুকে তাক করেও পাল্টা ইটের টুকরো ছুঁড়তে থাকে পাড়ার লোকজন। গ্রিল কাটার যন্ত্রও আনা হয়। পরিস্থিতি সামলাতে খবর দেওয়া হয় বর্ধমান থানায়।