Advertisement
E-Paper

বেহাল বাজার, নালিশ কালনায়

কিন্তু চাষিরা জানালেন, বাজারে ঢোকার দু’দিকের রাস্তাই খানাখন্দে ভরা। ফসল আনার সময়ে গর্তে চাকা পড়ে প্রায়ই গাড়ির যন্ত্রাংশ ভাঙছে। সামান্য বৃষ্টিতেই এখানে জল জমে। এ দিকে, বাজারে যে টিনের ছাউনির নীচে সব্জি বিক্রি হয়, সংস্কারের অভাবে সেই টিন অনেক জায়গাতেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৭ ০২:৫৩
এখানেই চালু হওয়ার কথা ছিল মাছ বাজারের। কালনায়। নিজস্ব চিত্র

এখানেই চালু হওয়ার কথা ছিল মাছ বাজারের। কালনায়। নিজস্ব চিত্র

খন্দে ভরা রাস্তা, বৃষ্টি হলেই জল জমে থাকে। অন্য দিকে, ভেঙে পড়েছে আড়তদারদের ঘর, সব্জি বিক্রির ছাউনি। এমনই অবস্থা কালনার জিউধারা এলাকার নিয়ন্ত্রিত বাজার কমিটি কমপ্লেক্সের পাইকারি বাজারের। আড়তদারদের অভিযোগ, এ নিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।

রাহাতপুর, মোমিনপুর, কেলনই, পিণ্ডিরা, ইনছুরো, বেগুনিয়া, খাগরাকুর, সহজপুর, বাঘনাপাড়া, বিজেরা-সহ প্রায় ৪০টি গ্রামের চাষিরা ফসল নিয়ে আসেন এই বাজারে। সেখানে আড়তদারদের কাছ থেকে ফরেরা তা কিনে নিয়ে যায় কলকাতা, হাওড়া, বারাসত, আসানসোল, দুর্গাপুর, বহরমপুর, পাশকুড়ার বাজারে।

কিন্তু চাষিরা জানালেন, বাজারে ঢোকার দু’দিকের রাস্তাই খানাখন্দে ভরা। ফসল আনার সময়ে গর্তে চাকা পড়ে প্রায়ই গাড়ির যন্ত্রাংশ ভাঙছে। সামান্য বৃষ্টিতেই এখানে জল জমে। এ দিকে, বাজারে যে টিনের ছাউনির নীচে সব্জি বিক্রি হয়, সংস্কারের অভাবে সেই টিন অনেক জায়গাতেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আড়তদারের ঘরে দেখা দিয়েছে ফাটল। সইফুল শেখ নামে এক আড়তদারের কথায়, বর্ষায় ঘরে জলও পড়ে। এ নিয়ে প্রশাসনে জানিয়েও লাভ হয়নি। এ ছাড়া, বাজারে চাষিদের মাল ঝাড়াই, বাছাই ও ধোওয়ার আলাদা জায়গা নেই। নেই গাড়িতে মাল তোলা বা নামানোর পরিকাঠামোও। প্রয়োজনের তুলনায় আলো ও জলের ব্যবস্থাও কম।

বছর সাতেক আগে চাষিদের জন্য একটি সব্জি হিমঘর তৈরি হলেও তা চালু হয়নি। এ ছাড়া, বছর দশেক আগে মাছের বাজারের জন্য আলাদা পরিকাঠামো তৈরি হলেও চালু করা যায়নি তা-ও। অযত্নে সেখানে জঙ্গল গজিয়েছে, ঘরগুলি থেকে খসে পড়ছে ইট। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেখানে সমাজবিরোধীদের আড্ডা হয়েছে। এ দিকে, জামিরতলার অরুণ হাজরা, মোমিনপুরের ইসরাফিল মণ্ডলদের মতো চাষিরা জানালেন, বাজার ঢোকার মুখের রাস্তাটি অবিলম্বে মেরামত না হলে ফসল নিয়ে ঢোকা মুশকিল।

এ প্রসঙ্গে কালনার মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানান, রাস্তাটির টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি ওখানে একটি কিসান মান্ডি তৈরির কাজ চলছে। মাস দুয়েকের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে গেলে পাইকারি বাজারটি চলে যাবে সেখানে। সমস্যাও অনেকটাই কমবে। হিমঘরটিও চালুর ব্যাপারে ভাবা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া, মাছবাজার এলাকার সমস্যাও খতিয়ে দেখবেন বলে জানান মহকুমাশাসক।

Fish market Kalna Drainage System কালনা বাজার
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy