Advertisement
E-Paper

যাত্রা, অনুষ্ঠানে মাত কার্তিক পুজো

পুজো উপলক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কোথাও বা পাত পেড়ে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন। এই দু’টি বিষয়ই এক সূত্রে গেঁথেছে শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন বারোয়ারি ও পারিবারিক কার্তিক পুজোর নানা আয়োজনকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৬ ০২:০৫
বল্লভপুরের পালবাড়ির পুজো। —নিজস্ব চিত্র।

বল্লভপুরের পালবাড়ির পুজো। —নিজস্ব চিত্র।

পুজো উপলক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কোথাও বা পাত পেড়ে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন। এই দু’টি বিষয়ই এক সূত্রে গেঁথেছে শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন বারোয়ারি ও পারিবারিক কার্তিক পুজোর নানা আয়োজনকে।

পাণ্ডবেশ্বরের খোট্টাডিহি গ্রামের পুজো শতবর্ষ পার করেছে। এলাকাবাসীর দাবি মেনেই এখানে পুজো শুরু হয়। পুজো কমিটির তরফে অসিত মণ্ডল জানান, এখানে দু’দিন ধরে যাত্রাপালা ও এক দিন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

এই গ্রামের থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে রয়েছে বাজারি গ্রাম। এই গ্রামের পাল বাড়ির সদস্য শিশিরবাবু জানান, প্রায় ১২৫ বছর আগে পরিবারের পূর্বপুরুষ সন্তান কামনায় পুজোর শুরু করেন। থাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসরও। সন্তানলাভের আশায় শতবর্ষ আগে রানিগঞ্জের তিরাট গ্রামের পাল বাড়ির পুজোও শুরু হয় বলে জানান পরিবারের সদস্য শুভঙ্করবাবু। পাত পেড়ে খাওয়ানো হয় এলাকার বাসিন্দাদেরও।

রানিগঞ্জের বল্লভপুরে পাল বাড়ির পুজো এ বার ১০৬ বছরে পড়ল। এই পরিবারের সদস্য অরুণবাবু জানান, পূর্বপুরুষ রাধাবল্লভ পাল এক দিন সকালে দেখেন, বাড়ির বাইরে কারা যেন একটি কার্তিক মূর্তি রেখে গিয়েছেন। তিনি মূর্তিটি বিসর্জন দিতে চাইলেও তাঁর স্ত্রী ভবানীদেবী তাতে বাধ সাধেন, শুরু হয় পুজো। পুজো উপলক্ষে ফি বছরই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পঙ্‌ক্তিভোজের আয়োজন করেন পরিবারের সদস্যরা।

জামুড়িয়ার বাহাদুরপুর গ্রামের মণ্ডলবাড়ির কার্তিক পুজো শুরু হয় ১৯১৩ সালে। পরিবারের বর্তমান সদস্য শ্রীকুমার মণ্ডল জানান, স্থায়ী মন্দিরে পুজো হয়। তিন দিন ধরে গ্রামের সকলে মেতে ওঠেন উৎসবে। পুজো উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নতুন এগারার যুবক সঙ্ঘ। পুজো কমিটির তরফে প্রকাশ পাল জানান, পুজো শুরু হয় ৪১ বছর আগে। এ ছাড়াও জামুড়িয়ার হিজলগড়ায় নন্দীবাড়ির পুজোটিও শতবর্ষ প্রাচীন।

আসানসোল ওয়েস্ট আপকার গার্ডেনের মণ্ডলবা়ড়ির পুজোও ১২০ বছরে পা দিল। পরিবারের সদস্য কল্যাণবাবু জানান, এখানে জোড়া কার্তিকের পুজো হয়। বাংলাদেশে এই ধরনের কার্তিক ‘কোকাই কার্তিক’ হিসেবে পরিচিত। পরিবারের সূত্রে জানা গেল, বাংলাদেশে থাকাকালীন পুজোর সদস্য শুরু করেন পূর্বপুরুষ প্রহ্লাদ মণ্ডল। আসানসোলে চলে আসার পরেও পুজোয় খামতি প়ড়েনি।

Kartick puja cultural activities
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy