বর্ধমানে শখের মেলায়। নিজস্ব চিত্র।
রাজ আমলের পদক, বিভিন্ন ছবি দেওয়া পুরনো মুদ্রা, স্মারক, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর লেখা দুষ্প্রাপ্য চিঠি, দেশ-বিদেশের পুরনো টাকার নোট। প্রদর্শনী জুড়ে এমনই নানা সামগ্রী। এই প্রথম বর্ধমান শহরে এ ধরনের একটি প্রদর্শনী আয়োজিত হল। ‘কলকাতা হবি ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফে শহরে আয়োজিত এই প্রদর্শনী দেখতে অনেকে ভিড় করেন।
বর্ধমানের মহিলা কলেজের কাছে একটি অনুষ্ঠানবাড়িতে শনি ও রবিবার এই প্রদর্শনী হয়। যার নাম দেওয়া হয় ‘হবি মেলা’। কলকাতার ২০ জন তাঁদের দুষ্প্রাপ্য জিনিসের সংগ্রহ নিয়ে আসেন।
উদ্যোক্তারা জানান, প্রদর্শনীতে ছিল আজাদ হিন্দ ফৌজের জন্য নেতাজির নিজের লেখা চিঠি, পদক। বর্ধমানের রাজের মূল্যবান নথি। মহতাবচাঁদ, বিজয়চাঁদের আমলের বিভিন্ন পদক প্রদর্শিত হয়। মহাবীর জৈনের সময়ের জিনিসের আলাদা সংগ্রহও ছিল।
এক সংগ্রাহক রবিশঙ্কর শর্মা বলেন, ‘‘ব্রিটিশ আমলেও বর্ধমানের রাজা নিজে পদক দিচ্ছেন, তা তাঁদের ক্ষমতা প্রমাণ করে। এই বিষয়গুলি এখানে তুলে ধরা হয়েছে।’’ এ ছাড়া ব্রিটেন, জাপান, নেপাল-সহ নানা দেশের বেশ কিছু নোট ও মুদ্রার প্রদর্শনী ছিল।
আয়োজক সংগঠনের তরফে রবি সেবক জানান, বর্ধমানে সংগঠনের এটি প্রথম প্রদর্শনী মেলা। ভবিষ্যতে অন্য জেলাতেও এমন প্রদর্শনী করবেন তাঁরা। তাতে সাধারণ মানুষ নানা দুষ্প্রাপ্য জিনিস দেখতে পাবেন। মানুষ উৎসাহ নিয়ে দেখতে এসেছেন এবং ১০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন মুদ্রা, স্ট্যাম্প-সহ বিভিন্ন জিনিস সংগ্রহ করেছেন।
কলকাতা থেকে ইন্দ্রকুমার কাঠোরিয়া কিছু দুষ্প্রাপ্য নথি নিয়ে এসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘কলেজ পড়ুয়া থেকে প্রবীণ মানুষ, অনেকেই এ সব দেখে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।’’ এ ধরনের সংগ্রহে মানুষের উৎসাহ বাড়বে বলে আশা তাঁদের। অন্যতম উদ্যোক্তা রাজা ভুতোরিয়ার দাবি, ‘‘অনেকেই প্রাচীন জিনিসপত্র নিতে গিয়ে প্রতারিত হন। তাঁদেরও এ নিয়ে সচেতন করা হয় মেলা বা প্রদর্শনী থেকে।’’
প্রদর্শনী দেখতে আসা আলমগঞ্জের শ্রীমন্ত মণ্ডল, কলেজ ছাত্রী মণিদীপা সরকারেরা বলেন, ‘‘এই রকম মেলা আরও হলে দুষ্প্রাপ্য বহু জিনিস আমরা আরও দেখার সুযোগ পাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy