Advertisement
০৩ মে ২০২৪

খালেদ খুনে অধরা অভিযুক্ত, ক্ষোভ

২৪ অগস্ট মাঝ রাতে বরাকরের মানবেড়িয়ায় নিজের বাড়ির সামনে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন আসানসোল পুরসভার ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খালেদ।

কুলটি থানার সামনে বিক্ষোভ নিহতের পরিজনদের। নিজস্ব চিত্র

কুলটি থানার সামনে বিক্ষোভ নিহতের পরিজনদের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কুলটি শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:২৭
Share: Save:

তৃণমূল কাউন্সিলর খালেদ খান খুনের ঘটনায় জড়িত বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার কুলটি থানায় বিক্ষোভ দেখালেন তাঁর আত্মীয়-পরিজনেরা। খুনের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের পুলিশ আড়াল করতে পারে, এই আশঙ্কা প্রকাশ করে তাঁরা সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার দাবিও তোলেন। যদিও পুলিশের দাবি, তদন্ত ঠিক পথেই চলছে। এখনও পর্যন্ত দুই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও কয়েকজনের খোঁজ চলছে।

২৪ অগস্ট মাঝ রাতে বরাকরের মানবেড়িয়ায় নিজের বাড়ির সামনে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন আসানসোল পুরসভার ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খালেদ। এর প্রতিবাদে এলাকায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ তৈরি হয়। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ টিঙ্কু শেখ ও কাদের শেখ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতেরা নিহতের আত্মীয় বলে জানায় পুলিশ। কাদের যুব তৃণমূলের কুলটি ব্লকের সম্পাদক ছিলেন। এই ঘটনার পরে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ধৃতদের ১৪ দিন হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে কাদের। সোমবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় আরও এক জনের জড়িত থাকার তথ্য মিলেছে। তার খোঁজ চলছে।

এ দিন দুপুরে খালেদের পরিজনেরা দল বেঁধে কুলটি থানায় বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, খুনে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশের তৎপরতা দেখা যাচ্ছেনা। তবে তা মানতে চায়নি পুলিশ। আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে দেখা করেও এ ব্যাপারে পদক্ষেপের আর্জি জানান খালেদের পরিজনেরা। মেয়রের আশ্বাস, ‘‘পুলিশ তদন্ত করছে। দোষীরা কেউ রেহাই পাবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kulti TMC Murder Agitation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE