আসানসোলে। —নিজস্ব চিত্র।
জেলায় পরিবহণ কর্মীর সংখ্যা ৫০ হাজার। কিন্তু তাঁদের মধ্যে রাজ্য সরকারের ‘সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে’ নাম নথিভুক্ত করাননি বেশির ভাগই, খবর প্রশাসন সূত্রে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের পরামর্শমতো বৃহস্পতিবার থেকে ওই প্রকল্পে আরও বেশি সংখ্যায় পরিবহণকর্মীদের নাম নথিভুক্ত করাতে সপ্তাহভর জেলার নানা প্রান্তে শিবির আয়োজন করার কথা জানিয়েছে শ্রম দফতর।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৫০ হাজার পরিবহণকর্মীদের মধ্যে গত বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রকল্পে নাম লিখিয়েছেন মাত্র ১৩ হাজার জন। তাঁদের মধ্যে আবার মাত্র আড়াই হাজার জনই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা করে প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। গোটা জেলার ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যান মোটেই আশাপ্রদ নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন শ্রমমন্ত্রী। তিনি নাম নথিভুক্ত করানোর সংখ্যা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার পরামর্শ দিয়েছেন, খবর জেলা প্রশাসন সূত্রে।
এর পরেই জেলার নানা প্রান্তে ঘুরে শিবির আয়োজনের কর্মসূচি নেওয়ার কথা জানান শ্রম দফতরের আধিকারিকেরা। বৃহস্পতিবার থেকে দু’দিনের একটি শিবিরের আয়োজিত হয় আসানসোল সিটি বাসস্ট্যান্ডে। শ্রম দফতর জানায়, প্রথম দু’দিন প্রায় আড়াই হাজার পরিবহণকর্মী নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। পশ্চিম বর্ধমান জেলার যুগ্মশ্রম মহাধ্যক্ষ তীর্থঙ্কর সেনগুপ্ত জানান, প্রকল্পে শুধুমাত্র বাস বা মিনিবাসের কর্মীদের পাশাপাশি অটো ও অন্য ছোট গাড়ির চালকদেরও নাম নথিভুক্ত করানো হচ্ছে।
কিন্তু পরিবহণকর্মীদের মধ্যে কেন এত দিন নাম তুলতে অনীহা দেখা গিয়েছে? তীর্থঙ্করবাবুর ব্যাখ্যা, ‘‘কখনও কাজের চাপে আবার কখনও অনীহায় পরিবহণকর্মীরা শ্রম দফতরের কার্যালেয় এসে নাম তুলতে চান না। তাই আমরাই এ বার নাম তোলার জন্য পরিবহণকর্মীদের কাছে যাচ্ছি।’’ পরিবহণকর্মী বরাকরের গোরাচাঁদ পাল, তিরাটের অরুণ যাদবেরা জানান, কার্যত ভোর থেকে তাঁদের কাজে বার হতে হয়। দিনভর কাজ করতে হয়। ফলে তার মধ্যে সময় বার করে সরকারি দফতরে যাওয়াটা তাঁদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। তবে স্ট্যান্ডের মতো জায়গায় শিবির হলে তাঁরা উপকৃত হবেন বলে আশা।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অরিন্দম রায়ের আশা, ‘‘পরিবহণকর্মীদের কাছে গিয়ে প্রকল্পের সুবিধাগুলি বোঝাতে পারলেই কাজ হবে।’’ অরিন্দমবাবু এ বিষয়ে শ্রম দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy