Advertisement
E-Paper

মেলেনি বেতন, কাঁকসায় অবরোধে শ্রমিকেরা

বছরখানেক ধরে ওই কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। যদিও কারখানার শ্রমিকদের একাংশ জানান, উৎপাদন বন্ধ থাকলেও ফি দিন নিয়ম করে তাঁরা কাজে আসেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৭ ০১:২০
অবরুদ্ধ: পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন শ্রমিকেরা। শুক্রবার।—নিজস্ব চিত্র।

অবরুদ্ধ: পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন শ্রমিকেরা। শুক্রবার।—নিজস্ব চিত্র।

টানা পাঁচ মাস বেতন মেলেনি। বারবার কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েও লাভ হয়নি। এই অভিযোগে শুক্রবার সকালে পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়কের বেলডাঙার কাছে পথ অবরোধ করলেন একটি বেসরকারি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের শ্রমিকেরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁকসার বেলডাঙার কাছে বছর দুয়েক আগে ওই খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রটি তৈরি করে একটি বেসরকারি সংস্থা। এলাকার বহু মানুষ তাঁদের জমি দিয়েছিলেন ওই কেন্দ্রটি তৈরি করতে। তার পরে এলাকার প্রায় ২২০ জন পুরুষ ও মহিলাকে কাজে নেওয়া হয়।

কিন্তু বছরখানেক ধরে ওই কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। যদিও কারখানার শ্রমিকদের একাংশ জানান, উৎপাদন বন্ধ থাকলেও ফি দিন নিয়ম করে তাঁরা কাজে আসেন। অথচ বেতন মিলছে না বলে অভিযোগ। কারখানার শ্রমিক বিল্টু মাহাতো এ দিন বলেন, ‘‘প্রায় পাঁচ মাস বেতন পাচ্ছি না। কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, ওই কেন্দ্রের গেটের কাছে বিক্ষোভ দেখিয়েছি। তাতেও লাভ হয়নি।’’

কারখানার শ্রমিকেরা জানান, আগে যত বারই বিক্ষোভ দেখানো হয়, তত বারই বেতন মেটানোর আশ্বাস দেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বেতন মেলে না। এমনকী শারদ উৎসবের মরসুমে বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও তা-ও হয়নি বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। ফলে অধিকাংশ কর্মীই পুজোর বাজারও করতে পারেননি বলে জানান। ওই কেন্দ্রটির মহিলা কর্মী সুপর্ণা দাস, মামনি বাগদিদের ক্ষোভ, ‘‘সংসার চালাতেও সমস্যায় পড়ছি।’’

অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কাঁকসা থানার পুলিশ। পুলিশের আশ্বাসে প্রায় আধ ঘণ্টা পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। যদিও কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান, যে ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে ওই শ্রমিকেরা কাজ করতেন, সেই সংস্থাকে এক মাসের বকেয়া দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকেরা দ্রুত সেই টাকা পেয়ে যাবেন।

অবরোধে ভোগান্তির মুখে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। এ দিন বোলপুর যাচ্ছিলেন সন্তোষ মণ্ডল, পানাগড়ে আসছিলেন অধীর রায়। তাঁরা বলেন, ‘‘কথায় কথায় এমন অবরোধের ফলে মাঝেসাঝেই গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে ভোগান্তি।’’

Labours Agitation Wages
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy