E-Paper

আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই, বার বার দুষ্কর্মে উঠছে প্রশ্ন

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ছ’মাসে আউশগ্রামের জঙ্গল অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায় তিনটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বাড়িতেও চুরি হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:০৪
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

কপালে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৬৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠল আউশগ্রামে জঙ্গলমহলে। বীরভূমের ইলামবাজারের বাসিন্দা শেখ হালিম আউশগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার দু’দিন কেটে গেলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে দাবি তাঁর। পরপর এই ধরনের ঘটনায় নিরাপত্তার আশঙ্কা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে মোটরবাইকে চেপে ১১ মাইল রাস্তা ধরে ভাতকুণ্ডায় যাচ্ছিলেন শেখ হালিম। কালিকাপুর বাসস্ট্যান্ডের কিছুটা আগে ১১ মাইলের দিক থেকে দুই দুষ্কৃতী বাইকে চেপে তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায়। তিনি বাইক থামালে একজন আগ্নেয়াস্ত্র বার করে তাঁর কপালে ঠেকিয়ে কাছে থাকা ৬৫ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ছ’মাসে আউশগ্রামের জঙ্গল অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায় তিনটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বাড়িতেও চুরি হয়েছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ঋণের কিস্তির টাকা আদায় করে বাইকে ফেরার সময় আউশগ্রামের হেদোগড়িয়ার কাছে গেঁড়াই যাওয়ার জঙ্গলের রাস্তায় একটি ছোট গাড়ি বাইকের সামনে দাঁড় করিয়ে বিপ্লব দাস নামে একটি ক্ষুদ্র ঋণদান সংস্থার কর্মীকে আটকায় তিন দুষ্কৃতী। তাঁর কাছ থেকে ৯৩ হাজারের বেশি টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ কয়েক জনকে গ্রেফতারও করেছে। টাকা ও মোবাইল উদ্ধারও হয়।

২৮ এপ্রিল দিনেদুপুরে মোড়বাঁধের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এক মহিলা আধিকারিক স্কুটি নিয়ে গেঁড়াই থেকে জালিকান্দর যাওযার পথে কথা বলার জন্য দাঁড়ালে তাঁর মাথায় আঘাত করে মোবাইল ছিনতাই হয়। এক যুবককে ধরে পুলিশ। এগারো মাইল, শ্রীচন্দ্রপুর, মাজুরিয়া এলাকায় একাধিক বাড়িতেও চুরি হয়। এই সব ঘটনার পরে জঙ্গলের রাস্তা কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশের নজরের অভাবেই পরপর চুরি হচ্ছে। পুলিশের দাবি, পাশে পানাগড় মোড়গ্রাম হাইওয়ে থাকায় চুরি, ছিনতাইয়ের পরে ওই রাস্তা ধরে পালাতে সুবিধা হয়। সেই কারণেই হয়তো এই এলাকাকে বেছে নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশের এক কর্তা বলেন, “প্রত্যেকটি ঘটনার কিনারা করা গিয়েছে। এলাকায় নজরদারি রয়েছে। আরও বাড়ানো হবে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Ausgram

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy