মাসখানেক পরে শুরু হল কাজ। নিজস্ব চিত্র।
প্রায় এক মাস পরে আইনজীবীদের কর্মবিরতি উঠল দুর্গাপুর আদালতে। কাঁকসা ও বুদবুদ থানা এলাকাকে প্রস্তাবিত নতুন জেলায় রাখার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন আইনজীবীরা। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকেও জট কাটেনি। তবে মঙ্গলবার তৃণমূলের আইনজীবী সেলের সদস্যেরা দল বেঁধে কাজে যোগ দেন। বাকিদের অনেকেই অবশ্য কাজ করেননি।
আসানসোল-দুর্গাপুর নিয়ে তৈরি হতে চলা নতুন জেলায় কাঁকসা থানার একাংশ ও বুদবুদ থানা না-ও থাকতে পারে বলে দাবি দুর্গাপুর আদালতের আইনজীবীদের। তাতে আদালতের আইনজীবী, ল-ক্লার্ক, টাইপিস্টদের রোজগার কমবে। ভোগান্তি বাড়বে ওই এলাকার মানুষজনেরও— এই দাবিতে ১০ জানুয়ারি থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন আইনজীবীরা। এর জেরে বিপাকে পড়েন বিচারপ্রার্থীরা।
দুর্গাপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের ডাকা কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছিলেন তৃণমূল আইনজীবী সেলের সদস্যেরাও। তবে শেষ পর্যন্ত দলীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে এ দিন তাঁরা কাজ শুরু করেন। নিজেকে ওই সেলের সদস্য দাবি করে অসীম প্রামাণিক বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা ভেবে দলীয় নেতৃত্ব আমাদের কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন।’’
তৃণমূল আইনজীবী সেলের সদস্য সংখ্যা প্রায় দু’শো। কিন্তু তাঁদের অর্ধেককে আদালতে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায় বলে বার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে খবর। এ দিন ৭০ জন কাজ শুরু করেন। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন বিচারপ্রার্থীরা।
যদিও অন্য আইনজীবীরা এ ভাবে কর্মবিরতি ভাঙায় অখুশি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আইনজীবী বলেন, ‘‘কোনও নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি আমরা পাইনি। তা সত্ত্বেও হঠাৎ কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত মোটেই ঠিক হল না।’’ তাঁর অভিযোগ, এর ফলে বাকিরাও ধীরে-ধীরে কাজে যোগ দিতে বাধ্য হবেন। বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অনুপম মুখোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy