Advertisement
০৯ ডিসেম্বর ২০২৪

নজরের অভাবে গর্বের নাট্যমঞ্চ এখন ধ্বংসস্তূপ

বুদবুদ থেকে দু’দিকে বাস যাতায়াত করে। গুসকরা, কাটোয়া, নবদ্বীপ রুটে এবং বর্ধমান রুটে। বাসগুলি আসে আসানসোল, দুর্গাপুর, বাঁকুড়া প্রভৃতি জায়গা থেকে। প্রথম রুটের বাসগুলি দাঁড়ায় মানকর রোডের শুরুতে।

ভাঙাচোরা সেই নাটকের মঞ্চ। ছবি: বিকাশ মশান।

ভাঙাচোরা সেই নাটকের মঞ্চ। ছবি: বিকাশ মশান।

বুদবুদ-মানকর শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৫ ০০:৩৪
Share: Save:

যাত্রী প্রতীক্ষালয় চাই

বুদবুদ থেকে দু’দিকে বাস যাতায়াত করে। গুসকরা, কাটোয়া, নবদ্বীপ রুটে এবং বর্ধমান রুটে। বাসগুলি আসে আসানসোল, দুর্গাপুর, বাঁকুড়া প্রভৃতি জায়গা থেকে। প্রথম রুটের বাসগুলি দাঁড়ায় মানকর রোডের শুরুতে। অন্য দিকে বর্ধমান যাওয়ার বাস দাঁড়ায় প্রধান রাস্তার ধারে। দু’জায়গাতেই কোনও যাত্রী প্রতীক্ষালয় গড়ে ওঠেনি। বাস ধরার জন্য যাত্রীরা খোলা আকাশের নীচে অপেক্ষা করতে বাধ্য হন। চড়া রোদে যেমন কষ্ট, তেমনই ভরা বর্ষায়। বিশেষ করে বয়স্ক, মহিলা ও শিশুদের বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। জাতীয় সড়কের বাইপাস চালু হওয়ার পর থেকেই বুদবুদের এই হাল। এই সমস্যার দিকে নজর দেওয়া দরকার।

মহম্মদ আকবর, বুদবুদ

দূরপাল্লার বাস নেই

আসানসোল ও দুর্গাপুর থেকে কলকাতাগামী সরাসরি সরকারি ও বেসরকারি বাস পরিষেবা চালু হয়েছে কয়েক বছর আগে। বহু সংস্থা ভলভো বাসও চালাচ্ছে এই রুটে। ট্রেনের সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় অনেকেই বাসে যাতায়াত পছন্দ করেন। কিন্তু বাসগুলি যাতায়াত করে বাইপাস দিয়ে। এর ফলে বুদবুদের বাসিন্দারা এই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কলকাতাগামী বাস ধরতে গেলে আগে তাঁদের ভাড়া গুনে পানাগড় যাওয়ার ঝক্কি পোহাতে হয়। সেখান থেকে কলকাতাগামী বাস ধরা যায়। পিছনের দিকে পানাগড় যাওয়ার ঝক্কির কারণে অনেকেই বাস পরিষেবা এড়িয়ে চলতে বাধ্য হন।

রতন সাহা, বুদবুদ

সাফাই হয় না নর্দমা

বুদবুদে সব্জির বাজার চলে খোলা আকাশের নীচে। তবে মাছের বাজারে বেশ কিছু পাকা দোকান ঘর রয়েছে। মাথার উপরে পাকা ছাদ থাকায় রোদ-বৃষ্টিতে তেমন সমস্যায় পড়েন না বিক্রেতারা। কিন্তু বাজারের ভিতরের নর্দমা মজে গিয়েছে। নর্দমা সাফাইয়ের কোনও উদ্যোগ হয় না। নর্দমার কটূ গন্ধ, মাছের বাজারের আঁশটে গন্ধ মিলেমিশে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। তার মধ্যেই গা বাঁচিয়ে, নাক বন্ধ করে কোনও রকমে কেনাকাটা সারতে বাধ্য হন ক্রেতারা।

বিজয়মল প্রসাদ, বুদবুদ

জলে ভাসে রাস্তা

মানকর-বুদবুদ প্রধান রাস্তা থেকে বেরিয়ে মানকর গ্রামের ভিতরে ঢোকার রাস্তাটির অংশবিশেষ কংক্রিটের বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অন্নপূর্ণাতলা এলাকায় রাস্তার একেবারে বেহাল দশা। খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। বৃষ্টির জল জমে ডোবার চেহারা নিয়েছে বড় বড় খন্দগুলি। গ্রামের কুণ্ডুপাড়া, অমরার গড়, জামতাড়া, সোয়াতা থেকে স্টেশন যাওয়ার এটিই ‘শর্টকাট’ রাস্তা। ভোট এলেই রাস্তাটি পাকা করার প্রতিশ্রুতি মেলে। কিন্তু তার পরে আর কেউ ফিরে দেখে না। রাস্তার পাশে নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়নি। এর ফলে বৃষ্টির জল বয়ে চলে রাস্তার উপর দিয়ে। বছরের পর বছর ধরে বর্ষায় রাস্তাটি এ ভাবেই বেহাল হয়ে পড়ে থাকে।

তপতী গোস্বামী, মানকর

মঞ্চের সংস্কার হোক

এলাকায় নাট্য সংস্কৃতির প্রসারে এই অরোরা থিয়েটারের গুরুত্ব গ্রামবাসী আজও গর্বের সঙ্গে মনে করেন। এক কালে কলকাতা থেকে নামকরা মঞ্চ অভিনেতারা মাতিয়ে গিয়েছেন মানকরের এই নাট্যমঞ্চ। অথচ, কালের কবলে পড়ে আজ সেটি ধ্বংস হতে বসেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সে দিকে আর কেউ যান না। গরু, ছাগল, কুকুরের আশ্রয়স্থল হয়ে গিয়েছে নাট্যমঞ্চটি। এলাকায় নাট্যচর্চাও আর আগের মতো হয় না। ফলে মঞ্চটির সংস্কার করার তেমন জোরালো উদ্যোগ নজরে আসে না। নাট্যমঞ্চটির সংস্কারের আর্জি প্রশাসনের কাছে জানানো হয়েছে। যদি প্রশাসন এগিয়ে আসে তবেই ঐতিহ্যশালী মঞ্চটি রক্ষা পাবে।

সুকুমার পাল, মানকর

অন্য বিষয়গুলি:

Mankar Letters Bud Bud
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy