ওয়ারিয়া স্টেশনের অসমাপ্ত ফুট ওভারব্রিজ। নিজস্ব চিত্র
নির্ধারিত সময়ের প্রায় তিন বছর পরেও চালু হল না দুর্গাপুরের ওয়ারিয়া স্টেশনের ফুট ওভারব্রিজ। ফলে, দিনের পর দিন ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন পারাপার করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবিলম্বে বাকি নির্মাণকাজ শেষ করে ফুট ওভারব্রিজ চালু করার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়ারিয়া স্টেশনে ফুট ওভারব্রিজ না থাকায় যাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দা, সবাইকেই সমস্যায় পড়তে হয় রেললাইন পারাপারে। প্ল্যাটফর্ম বদলাতে সমস্যায় পড়েন যাত্রীরাও। হেঁটে রেললাইন পারাপার করতে হয় তাঁদের। বাসিন্দারা জানান, আবার নানা কারণে রেললাইন পেরিয়ে বিপজ্জনক ভাবে যাতায়াত করতে হয় তাঁদের। তাঁদের দাবি, এর জেরে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫-য় রেললাইন পারাপারের সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। ফের ২০১৮-এর অগস্টে দুর্ঘটনায় এক জন গুরুতর জখম হওয়ার পরেও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। বিক্ষোভে শামিল হয় বহু স্কুল পড়ুয়াও। এর পর থেকেই ফুট ওভারব্রিজের দাবি আরও জোরদার হয়। বিক্ষোভকারীরা ওয়ারিয়া স্টেশনের ম্যানেজারের কাছে দাবিপত্রও জমা দেন। তাতে তাঁরা উল্লেখ করেন, স্টেশনের দু’প্রান্তের বাসিন্দাদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য অবিলম্বে ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ জরুরি।
শেষ পর্যন্ত রেলের তরফে জানানো হয়, ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট বোর্ড অনুমোদন করেছে। রেলের আসানসোল ডিভিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দ্রুত দরপত্র ডেকে বছর খানেকের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হওয়া তো দূরের কথা, নির্মাণ কাজ শুরুই করতে পারেনি রেল। অবশেষে কাজ শুরু হয় ২০২০-এর শুরুর দিকে। স্থানীয়েরা জানান, এরই মধ্যে করোনার জন্য ‘লকডাউন’ শুরু হতেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফের কাজ শুরু হয় সে বছরের অগস্টে। তবে কাজ এখনও শেষ হয়নি। তাঁদের অভিযোগ, কাজ চলছে খুব ঢিমেতালে। তাই এত সময় লাগছে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে পদ্ধতিগত প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সময় লেগে যাওয়ায় কাজ শুরু হতে দেরি হয়। এর পর লকডাউনের জেরে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে, পুরোদমে কাজ শুরু হয়। কর্তৃপক্ষের দাবি, রেললাইনের উপরের অংশের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। তবে এখন পুজোর জন্য কাজ বন্ধ রয়েছে। রেলের এক আধিকারিক জানান, পুজোর মরসুম মিটলেই জোরকদমে কাজ হবে। দ্রুত কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy