আউশগ্রামের পার্ক। নিজস্ব চিত্র
বহু লক্ষ টাকা খরচে আউশগ্রাম ২ ব্লক প্রশাসন ও এড়াল পঞ্চায়েতের উদ্যোগে তৈরি ‘মা-মাটি-মানুষ’ পার্ক এবং রাধামোহনপুরে ‘উজান’ পার্ক দু’টি বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাঁদের একাংশের দাবি, চুরি হচ্ছে পার্কের জিনিসপত্র। অসামাজিক লোকজনের আনাগোনা বাড়ছে। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের দাবি, কেন্দ্রের তহবিল না আসায় পার্কের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা যাচ্ছে না।
বছর ছয়েক আগে একটি জলাশয়কে ঘিরে তৈরি হয়েছিল ‘মা মাটি মানুষ পার্ক’। তার সীমানা পাঁচিল দেওয়া, সৌন্দর্যায়ন ঘটানো, আলোর ব্যবস্থা করার পাশাপাশি শিশুদের খেলার পরিকাঠামোও তৈরি হয়। ছিল নৌকাবিহারের ব্যবস্থাও। প্রশাসন সূত্রে খবর, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় কর্মসংস্থান সুনিশ্চিতকরণ প্রকল্প ছাড়াও চতুর্থ রাজ্য অর্থ কমিশনের বরাদ্দ প্রায় ৪০-৪৫ লাখ টাকা খরচ হয় পার্কটি তৈরিতে।
বছর পাঁচেক আগে রাধামোহনপুরে প্রায় ৭০ বিঘা পরিত্যক্ত সরকারি জমিতে তৈরি হয় ‘উজান’ পার্ক। সেখানে বাহারি গাছ লাগানো, অতিথি নিবাস তৈরি করা, পানীয় জলের পাম্প বসানো, পাকা নর্দমা তৈরি, ঢালাই রাস্তা ও তোরণ নির্মাণে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হয়। বিশ্বব্যাঙ্কের টাকায় পার্কের ভিতরে জলাশয় খনন করা হয়েছিল।
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, এখন পার্ক দু’টি ঝোপজঙ্গলে পূর্ণ। অতিথি নিবাস, পানীয় জলের পাইপ লাইন ভেঙে পড়ছে। বেশ কিছু সামগ্রী চুরি হয়েছে। পার্কে গবাদি পশু চরে। অসামাজিক লোকজনের আনাগোনা বেড়েছে। শুকিয়ে যাওয়ায় জলাশয়ের মাছচাষ হয় না। বিরোধীদের অভিযোগ, সম্পদ সৃষ্টির নামে পার্ক তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকার অপচয় করা হয়েছে।
পঞ্চায়েতের গত বোর্ডের এক সদস্যের কথায়, ‘‘সম্পদ সৃষ্টির জন্য পার্কগুলি তৈরি করা হয়। আরও কিছু কাজ বাকি থাকায় সেগুলি চালু করা যায়নি। তহবিল না পাওয়ায় কাজ এগোয়নি।’’
এড়াল পঞ্চায়েতের প্রধান পানো মার্ডি বলেন, “আমি দ্বায়িত্ব নেওয়ার আগে থেকেই পার্ক দু’টি এই অবস্থাতেই পড়ে আছে। তহবিল না থাকায় মেরামত করা যাচ্ছে না। অর্থ মিললে পার্ক চালু হবে।”
বিডিও (আউশগ্রাম ২) চিন্ময় দাস বলেন, ‘‘ওই এলাকায় প্রকৃতি পর্যটন প্রকল্প করার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।‘‘
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy