‘জলজীবন মিশন’ প্রকল্পের কাজ চলছে আসানসোলের বারাবনি বিধানসভার সালানপুর ব্লকে। বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়া লক্ষ্যে এই কাজ বলে জানাচ্ছেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান। তাঁর দাবি, সালানপুরের বিভিন্ন জায়গায় জলের সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়েছে। সাবমার্সিবল পাম্প, নলকূপ বসানো হয়েছে অনেক এলাকায়। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর কাজ করছে। কিছু জায়গায় হয়তো সমস্যা রয়েছে। আগামী দিনে তা মিটে যাবে।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, জলজীবন মিশন প্রকল্পের পরিসর অনেক বড়। তবে কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। তবে এত বড় মাপের প্রকল্প তৃণমূল স্তরে রূপায়িত করতে গেলে একটু সমস্যা থাকবে। সেগুলির ধীরে ধীরে সমাধান করা হচ্ছে। আরমান বলেন, “আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস, ২০২৬ সালের আগেই পানীয় জলের সমস্যার সমাধান হবে। ৮০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। অনেক জায়গায় সংযোগ দেওয়া হয়েছে। কিছু গ্রামে, কিছু অলিগলিতে সেই কাজ বাকি রয়েছে।’’
সালানপুর ব্লকের বাসিন্দা রিতা পাল বলেন, ‘‘পানীয় জলের সমস্যা ছিল। আশা করছি আমাদের আর জলের জন্য কষ্ট পেতে হবে না।’’ শ্রাবণী গুহ হালদার বলেন, ‘‘আমাদের জলের সমস্যা ছিল। দ্রুত গতিতে কাজ হচ্ছে। আশা করছি এ বার সমস্যা মিটবে।এলাকার মানুষ জল পাবে। গ্রীষ্মে কুয়ো শুকিয়ে যায়। কুয়োয় জল থাকে না তাই এই প্রকল্পের কাজ হলে সমস্যা মিটে যাবে।’’ সুনীলকুমার সিংহ বলেন, ‘‘খুব ভাল কাজ চলছে। এ বার জলের সমস্যা মিটে যাবে বলে মনে হচ্ছে। আমরা খুশি।’’
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “পশ্চিম বর্ধমান জেলার আটটি ব্লকে জলজীবন মিশনের কাজ চলছে। বাড়ি বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য সংযোগ দেওয়ার কাজও চলছে। ২০২৫-র মধ্যে কাজ শেষ হবে।” দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের কাজ ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষে শুরু হয়। ২৬ হাজার ৮৬৭টি সংযোগ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যার মধ্যে ১৮ হাজার ১৭৯টি বাড়িতে সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)