অবশেষে বুধবার আসানসোল ডিভিশনে চালু হল লোকাল। সকাল ৬টা ২০-তে প্রথম ট্রেনটি বর্ধমানের উদ্দেশে যায়। লোকাল চালু হওয়ায় স্বস্তিতে নানা স্তরের মানুষজন। তবে অখুশি হকারেরা। কারণ, তাঁদের এখনও ট্রেনে চড়ার অনুমতি মেলেনি। সমস্যা কাটেনি পুরুলিয়ার যাত্রীদেরও।
এ দিন সকালে আসানসোল স্টেশনে গিয়ে দেখা গেল, প্রথম ট্রেনে তেমন ভিড় নেই। যদিও সকাল ৯টার লোকালে ভিড় ভালই ছিল। তবে পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। প্রায় ন’মাস ট্রেনগুলি কারশেডেই ছিল। স্বভাবতই কামরার মেঝে ও বসার আসনে জমেছে ধুলোর পুরু আস্তরণ। যাত্রী দীপ্তমান চৌধুরী বলেন, ‘‘লোকাল চালু হওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। কিন্তু ধুলো ঝেড়ে বসতে গিয়ে পোশাকের দফারফা হয়ে গিয়েছে।’’ প্ল্যাটফর্মে পরিস্রুত পানীয় জলের স্টলগুলি বন্ধ থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক যাত্রী। পরিচ্ছন্নতা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে দুর্গাপুরেও। যাত্রী বিনয় দাস বলেন, ‘‘এখানে সুরক্ষা ব্যবস্থা খারাপ নয়। তবে সব ঠিকমতো সাফ করা দরকার ছিল।’’
মঙ্গলবার রেলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল যাত্রীদের বসার আসনে স্টিকার সেঁটে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে তাঁরা কোথায় বসবেন। কিন্তু এ দিন দেখা গেল, বর্ধমান বা যশিডিগামী ট্রেনগুলির অনেক কামরায় তেমন কোনও সতর্কীকরণ স্টিকার লাগানো হয়নি। আবার কিছু কামরায় স্টিকার লাগানো হলেও অনেক যাত্রীই তা মানছেন না। মাস্ক ছাড়াই, বহু যাত্রী ভ্রমণ করছেন। দুর্গাপুরে একটি ট্রেনের চালককেও দেখা গিয়েছে মাস্ক ছাড়াই।