Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Containment Zone

গণ্ডিবদ্ধ ১৭ জায়গায় ফের শুরু ‘লকডাউন’

বর্ধমান শহরে রয়েছে ছ’টি গণ্ডিবদ্ধ এলাকা— গোলাহাট, রাজগঞ্জ, বড়নীলপুর, রামকৃষ্ণ রোড, শতাব্দীবাগ, কাজিরহাট।

বর্ধমানের রাস্তায় আড্ডা। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

বর্ধমানের রাস্তায় আড্ডা। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২০ ০০:০১
Share: Save:

করোনা-সংক্রমণ আটকাতে জেলার ১৭টি গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় ফের ‘লকডাউন’ শুরু হল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে। তবে অনেক জায়গাতেই ‘লকডাউন’ শুরুর পরেও রাস্তায় লোকজন দেখা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোতে বাসিন্দাদের বেরোতে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। অনেক জায়গার বাসিন্দাদের আবার অভিযোগ, তাঁদের এলাকা গণ্ডিবদ্ধের তালিকায় পড়লেও এ দিন সকাল থেকে সে সংক্রান্ত ব্যবস্থার কোনও তৎপরতা প্রশাসনের তরফে চোখে পড়েনি।

যদিও জেলা প্রশাসন তা মানতে চায়নি। সব ক’টি গণ্ডিবদ্ধ এলাকা বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা হয়েছে বলে প্রশাসনের কর্তাদের দাবি। জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতী বলেন, ‘‘জেলার ১৭টি কন্টেনমেন্ট জ়োন নিয়ে নির্দিষ্ট নোটিস পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সব রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে।’’ পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কড়া ভাবে লকডাউন মানা হবে। কোথায় কতটা জায়গায় লকডাউন হবে, তা স্থানীয় প্রশাসন ঠিক করছে। কন্টেনমেন্ট জ়োনের বাসিন্দাদের যাতে খাদ্যসামগ্রী পেতে অসুবিধা না হয়, তা দেখা হচ্ছে।’’

বর্ধমান শহরে রয়েছে ছ’টি গণ্ডিবদ্ধ এলাকা— গোলাহাট, রাজগঞ্জ, বড়নীলপুর, রামকৃষ্ণ রোড, শতাব্দীবাগ, কাজিরহাট। সেগুলিতে আগে থেকেই কন্টেনমেন্ট জ়োন রয়েছে। রাজগঞ্জ কুয়োতলার বাসিন্দাদের অনেকের অভিযোগ, ‘লকডাউন’ চালুর ব্যাপারে দিনভর প্রশাসনিক কোনও তৎপরতা ছিল না। সকালে এলাকায় দোকানপাট খুললেও অস্বাভাবিক ভিড় নজরে পড়েনি। কিছু বাসিন্দাকে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে গল্পগুজবও করতে দেখা যায়।

বড়নীলপুর বটতলা এলাকায় আগে থেকে বাঁশের ব্যারিকেড রয়েছে। এ দিন সকালে সেখানেও দোকানপাট খোলা থাকতে দেখা যায়। রাস্তাতেও বেরিয়েছিলেন অনেকে। স্থানীয় বাসিন্দা স্বরূপ ঘোষ, রতন দাসদের দাবি, আতঙ্ক থাকলেও অনেকেই বাইরে বেরোচ্ছেন। শহরের আর এক গণ্ডিবদ্ধ এলাকা গোলাহাটের ব্যবসায়ী মলয় প্রামাণিক বলেন, ‘‘বিকেল থেকে ‘লকডাউন’ শুরু। কিন্তু সে জন্য জিনিস কিনতে সকাল থেকে ভিড় জমার মতো ঘটনা ঘটেনি।’’ স্থানীয় বাসিন্দা পরিমল দাস দাবি করেন, ‘লকডাউন’ শুরু হলেও এলাকায় জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে।

জেলা প্রশাসন অবশ্য জানায়, সরকারি ভাবে বিকেল ৫টা থেকে ‘লকডাউন’ হয়েছে। তার ঘণ্টাখানেক আগে পর্যন্ত কোন এলাকার কতটা গণ্ডিবদ্ধ হচ্ছে, সে সংক্রান্ত নির্দেশ পুলিশের কাছে ছিল না। তার পরে তড়িঘড়ি করে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের কর্তারা বৈঠক করে ‘বাফার জ়োন’-এর কতটা ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’-এ থাকবে, সে সিদ্ধান্ত নেন। তার পরে নোটিস জারি করা হয়েছে। যে সব জায়গায় লোকজন জমায়েত করেন, সেখানে নজর রাখা হচ্ছে। দোকানপাট বন্ধ করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE