Advertisement
E-Paper

ভোটের মাঠে প্রথম দুই প্রার্থী

সোমবার রাতে কংগ্রেস ২৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে। বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে দলের প্রার্থী হয়েছেন রণজিৎ  মুখোপাধ্যায়। দলের রিসার্চ বিভাগের সম্পাদক তিনি। বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের তফলিসি জাতি সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী হয়েছেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। দু’জনেরই ভোটে লড়া এই প্রথম।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৯ ০০:২৫
বাঁ দিক থেকে, রণজিৎ মুখোপাধ্যায় ও সিদ্ধার্থ মজুমদার। নিজস্ব চিত্র

বাঁ দিক থেকে, রণজিৎ মুখোপাধ্যায় ও সিদ্ধার্থ মজুমদার। নিজস্ব চিত্র

গত লোকসভা ভোটে প্রার্থী ছিলেন জেলার চেনা মুখ। এ বার বর্ধমান পূর্ব ও বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে ক‌ংগ্রেসের প্রার্থী অবশ্য কলকাতার বাসিন্দা। যদিও জেলার সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ যে ওতপ্রোত তা দাবি করেছেন দু’জনেই।

সোমবার রাতে কংগ্রেস ২৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে। বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে দলের প্রার্থী হয়েছেন রণজিৎ মুখোপাধ্যায়। দলের রিসার্চ বিভাগের সম্পাদক তিনি। বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের তফলিসি জাতি সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী হয়েছেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। দু’জনেরই ভোটে লড়া এই প্রথম।

৩৯ বছরের রণজিৎবাবুর উঠে আসা যুব কংগ্রেসের হাত ধরে। কলকাতা সেন্ট জেভিয়ার্সের ছাত্র ছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে পুণে থেকে এমবিএ করেন। ২০১৩ সালে বিধাননগর লোকসভা থেকে যুব কংগ্রেসের সদস্য হন। রাজ্য যুব কংগ্রেসেরও সদস্য হন সে বছর। ২০১৪ সালে দলের সোশ্যাল সেলের দায়িত্ব নেন। রাহুল গাঁধীর সঙ্গে পরিচিতিও বাড়ে। ২০১৪ সালের লোকসভায় ভোটেও কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ওই বছরেই প্রদেশ কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ার চেয়ারম্যান হন। তখন থেকে দলের পূর্ণ সময়ের কর্মী। রণজিৎবাবুর বাবা প্রসূন মুখোপাধ্যায় কলকাতা পুলিশ কমিশনার ছিলেন। এ দিন রণজিৎবাবু জানান, উত্তরপ্রদেশ, বিহারে কাজ করেছেন তিনি। এ জেলার মঙ্গলকোটেও দলের সংগঠন বাড়ানোর কাজ করেছেন। ২০১৭ সালে রিসার্চ বিভাগের সেক্রেটারি হন। তিনি বলেন, ‘‘লড়াই জমজমাট হবে। এক দিকে কৃষকের সমস্যা, এক দিকে শিল্পের সমস্যা কী ভাবে জাঁকিয়ে বসেছে সেটাই প্রচারে তুলে ধরা হবে।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সিদ্ধার্থ মজুমদারের বাড়ি কলকাতার বরাহনগর। তাঁর পরিবার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত দীর্ঘদিন ধরে। তাঁর দাদু অপূর্ব মজুমদার মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের আমলে বিধানসভার স্পিকার ছিলেন। ৩৭ বছরের সিদ্ধার্থ পুণে থেকে এমবিএ করেছেন। স্কুল অবশ্য ছিল কলকাতায়। তাঁর বাবা সন্দীপনবাবু ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন। বাবার বদলির কারণে বাকি পড়াশোনা করেন দিল্লিতে। পরবর্তীতে সরকারের নানা প্রকল্পের গ্রহণযোগত্যা জনমানসে কতখানি, তা নিয়ে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেছেন। সেই সূত্রেই কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ। ২০১১তে দলে যোগ দেন তিনি। পরের বছর গুজরাত ভোট, পুণেতে পঞ্চায়েত ভোটে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন। ফের কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ে। বর্ধমানেও একাধিক দলের মিটিং, জেল ভরো কর্মসূচিতে এসেছেন। এ বার দল প্রার্থী করতে চাইলে রাজি হন এককথায়। সিদ্ধার্থবাবু বলেন, ‘‘জেলা কংগ্রেস আমায় খুব ভাল ভাবে গ্রহণ করেছে। আমি এলাকায় একাধিকবার গিয়ে বৈঠক করেছি।’’

কংগ্রেসের জেলা কার্যকরী সভাপতি কাশীনাথ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিদ্ধার্থ শিক্ষিত ছেলে। দলের বিভিন্ন বৈঠকে এসেছেন। সংগঠন করেছেন। আশা করি ফল ভাল হবে।’’ আর এক জেলা কংগ্রেস নেতা লক্ষ্মী নায়েকও বলেন, ‘রণজিৎ মুখোপাধ্যায় শিক্ষিত মানুষ। দল খুব ভাল প্রার্থী বেছেছে।’’

Lok Sabha Election 2019 Congress Bardhaman
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy