প্রতীকী ছবি।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন-পর্বে বারবার গোলমাল হয়েছে। শুধু গ্রামীণ এলাকায় নয়, বর্ধমান শহরেও তার প্রভাব পড়ে। বিরোধীরাও নানা জায়গায় অভিযোগ করেন, পথে-সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন। এ বার মনোনয়ন পর্ব থেকে ভোটকেন্দ্র পর্যন্ত যাতে অভিযোগ না ওঠে তাই সক্রিয় ভূমিকা নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।
পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের দাবি, গোটা রাজ্যের মধ্যে একমাত্র এই জেলার ৪৪৫৬টি বুথেই ইন্টারনেট সচল। একটি বুথও ‘মোবাইল শ্যাডো জোন’-এর আওতায় নেই। নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই বুথগুলির মধ্যে ‘ফোর জি’ সংযোগ রয়েছে ৩২৩৯টি বুথে (৭৩%)। আর ‘থ্রি জি’ সংযোগ রয়েছে ৯০০টি বুথে (২০%)। বাকি বুথগুলিতে ‘টু জি’ সংযোগ রয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি স্পর্শকাতর বুথে মাইক্রো পর্যবেক্ষক, ভিডিয়োগ্রাফি, সিসি ক্যামেরা এবং ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করবে কমিশন। কোন বুথে, কী ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে, তার উপর ওই চারটি পদ্ধতির মধ্যে কোথায় কী ব্যবহার হবে, তা ঠিক হয়। পুরোটাই করেন নির্বাচন কমিশনের জেলা পর্যবেক্ষক। সে জন্যেই আগে থেকে সেই রিপোর্ট তৈরি করে রাখে জেলা নির্বাচন দফতর। তাঁদের ধারণা, ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বুথে ‘ওয়েব কাস্টিং’য়ের ব্যবস্থা করবে কমিশন। যার মধ্যমে দিল্লিতে বসেও নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকেরা জেলার প্রত্যন্ত গ্রামে বুথের ভিতরের দৃশ্য দেখতে পারবেন। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এমন ভাবে ক্যামেরা বসাতে হবে, যাতে বুথের ভিতর কারা ঢুকছে, কখন বেরোচ্ছে অথবা ভিতরে অযথা ভিড় হচ্ছে কি না, তা যেন দেখা যায়।
এ বার থেকে রিটার্নিং অফিসারেরাও ‘নজরবন্দি’ হচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের। ইতিমধ্যে বর্ধমান-দুর্গাপুরের রিটার্নিং অফিসার তথা জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তবের ঘরের সামনে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। বর্ধমান পূর্ব লোকসভার রিটার্নিং অফিসার তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অরিন্দম নিয়োগীর ঘরের সামনেও সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। কমিশন অবশ্য বলেছে, প্রত্যেকটি রিটার্নিং অফিসারের সামনে এমনভাবে ওয়েব কাস্টিং ক্যামেরা ব্যবহার করতে হবে, যাতে গোটা চত্বরটা দেখা যায়। আর এই পুরো ‘নজরবন্দি’র মূল উদ্দেশ্য লোকসভা নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকরা যাতে কোনও ভাবেই অশান্তি সৃষ্টি করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করা। আর কোনও কারণে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হলে সরাসরি দিল্লি থেকে যাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ তাড়াতাড়ি পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা যায় তাও নিশ্চিত করা যাবে এ ভাবে, এমনটাই মনে করছেন কমিশনের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy