Advertisement
E-Paper

ভোটের দিন থাকবেন তো, প্রশ্ন বাহিনীকে

আধাসেনা দেখে ভোটারদের প্রশ্ন, ‘‘দেখে ভাল লাগছে। কিন্তু ভোটের দিন থাকবেন তো?’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৪৪
পথে আধাসেনা, ভাতারের ওরগ্রামে। নিজস্ব চিত্র

পথে আধাসেনা, ভাতারের ওরগ্রামে। নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েত ভোটের অভিজ্ঞতা এখনও টাটকা। এ বারের পরিস্থিতি যে আলাদা তা বোঝাতে শুক্রবার থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে পাড়ায়, পাড়ায় ঘুরতে শুরু করেছেন পুলিশ, প্রশাসনের কর্তারা। আধাসেনা দেখে ভোটারদের প্রশ্ন, ‘‘দেখে ভাল লাগছে। কিন্তু ভোটের দিন থাকবেন তো?’’ পুলিশ কর্তারা তাঁদের আশ্বস্ত করে বলছেন, ‘‘চিন্তার কিছু নেই। আমরা তো আছি। কোনও অসুবিধা হলেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’’

বৃহস্পতিবার রাতেই এক কোম্পানি আধাসেনা জেলায় পা রেখেছে। এ দিন সকালে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে ভোটারদের মনোবল বাড়াতে আধাসেনা পৌঁছে যায় ভাতার, মন্তেশ্বর ও কেতুগ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভাতারে ২৫ জন, মন্তেশ্বরে ৩৫ ও কেতুগ্রামে ৩০ জন মতো আধাসেনাকে নিয়ে টহল দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি জায়গাতেই থানার ওসি ও আইসিরা ছিলেন। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, গত লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান পুলিশ এলাকায় ৪৮ কোম্পানির মতো আধাসেনা নিয়োগ করা হয়েছিল। এ বার সেই সংখ্যাটা ৯০ কোম্পানিরও বেশি হবে বলে পুলিশের দাবি। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখার জন্যে জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই ১৭৫টিরও বেশি জায়গা বেছে রেখেছে। পূর্ত দফতর ও জনস্বাস্থ্য দফতরকে দিয়ে থাকার, খাওয়ার জায়গা তৈরি, জলের ব্যবস্থা-সহ ন্যূনতম পরিকাঠামো তৈরির কাজও শুরু করে দেওয়া হয়েছে।

এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ভাতারের ওরগ্রামে পৌঁছে যায় আধাসেনা। ওরগ্রাম, শিকারপুর, আমারুন, মাহাতা, বনপাস, রাজিপুর, বামশোর, নাসিগ্রাম, বড়বেলুন-সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম সকাল-বিকেল ঘোরেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ি বা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজনকে জিজ্ঞাস্য করেন, “কোনও অসুবিধা নেই তো?” এক ব্যবসায়ী বলেন, “আপনারা রাস্তায় ঘুরছেন কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু ভোটের দিন নিরাপত্তা পাব তো?” এক বধূরও দাবি, “ভোটের দিন এ ভাবে টহল দিলে ভাল হয়।’’

আর একটি দল সকাল ১০টায় মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রামে পা রাখে। পরে ডাকবাংলো, পুটশুড়ি, মালডাঙা-সহ দিন গোটা কুড়ি গ্রামেও টহল চলে। কেতুগ্রামের আনখোনা, চাকটা, আমগোড়িয়া, বিরুরি, চিনিসপুর-সহ বেশ কিছু গ্রামেও যায় আধাসেনা। আমগোড়িয়া ও বিরুরি গ্রামের ভিতর ঢুকে জানতে চাওয়া হয়, কোনও ভয় নেই তো? তবে বেশির ভাগ বাসিন্দাই জবাব দেননি বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

তবে প্রতিটি জায়গাতেই প্রশাসনের কর্তারা অভয় দিয়েছেন, “কোনও চিন্তা নেই। আমরা আছি। অসুবিধা হলেই জানাবেন, আমরা সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যাব।’’ যদিও অভয়ে কাজ হয়েছে কি না, তা বোঝা যাবে ভোটের দিন।

Lok Sabha Election 2019 CRPF Violence
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy