Advertisement
E-Paper

বুথের পথে হাতে হাতে মুড়ি-শসা

রবিবার হরিজনপল্লি ছাড়াও খণ্ডঘোষের লোদনা, কাঁটাপুকুর থেকে গলসি ব্লকের জুজুটি, কেকনা, রাঘবপুর, মজিদপুর, ভারিচা, পাত্রহাটির বুথে কোথাও ছোলা-মুড়ি, কোথাও রসগোল্লা খাওয়ানো হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৯ ০১:৪৮
মুড়ি-শসার প্যাকেট তৈরি চলছে, হরিজনপল্লি এলাকায়। নিজস্ব চিত্র

মুড়ি-শসার প্যাকেট তৈরি চলছে, হরিজনপল্লি এলাকায়। নিজস্ব চিত্র

সকালেই অভিযোগ উঠেছিল, খণ্ডঘোষের উখরিদ হরিজনপল্লি বুথে ইভিএমের বোতাম টিপলেই ভোট পড়ছে বিজেপিতে। তৃণমূলের লোকজন এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। ইভিএম পরীক্ষা করে জানানো হয়, কোনও গোলমাল নেই। ভোটগ্রহণ ফের শুরু হতে দেখা যায়, ভোট দিয়ে মুড়ি-শসার প্যাকেট নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন ভোটারেরা।

রবিবার হরিজনপল্লি ছাড়াও খণ্ডঘোষের লোদনা, কাঁটাপুকুর থেকে গলসি ব্লকের জুজুটি, কেকনা, রাঘবপুর, মজিদপুর, ভারিচা, পাত্রহাটির বুথে কোথাও ছোলা-মুড়ি, কোথাও রসগোল্লা খাওয়ানো হয়। যাঁরা খাবারের প্যাকেট বিলি করছিলেন তাঁদের কথায়, ‘‘আমাদের এখানে ভোট শান্তিতে হয়। এ বারেও তাই হচ্ছে।’’

হরিজনপল্লির বুথ থেকে ৫০ মিটার মতো দূরে একটি গাছের তলায় তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল সাঁতরার ছবি দেওয়া ফ্লেক্সের নীচে চাটাই পেতে বসেছিলেন কয়েকজন। ছিল বস্তাভর্তি মুড়ি আর ঝুড়ি ভর্তি শসা। তৈরি হচ্ছিল মুড়ির প্যাকেট। ভোট দিয়ে ফেরার বা বুথে যাওয়ার পথে ওই প্যাকেটই নিয়ে যাচ্ছিলেন ভোটারেরা। ভোটের লাইনে ছেলে কোলে দাঁড়িয়েছিলেন এক মহিলা। হাতে মুড়ি কেন জিজ্ঞাসা করায় নাম না লেখার শর্তে তিনি বললেন, ‘‘মুড়ি না নিলে বিরোধী হয়ে যাব। তাই আর কথা বাড়াইনি।’’

ওই বুথেই ভোট দিতে এসেছিলেন পাশের মাধপুর গ্রামের শ’দেড়েক বাসিন্দা। তাঁদের জন্য আবার ছিল বিশেষ ব্যবস্থা। বুথের কাছেই একটা ফাঁকা জায়গায় বালতিতে করে রাখা ছিল দানাদার। বুথে যাতায়াতের পথে মিষ্টিমুখ করানো হচ্ছিল ভোটারদের। বালতির কাছে দাঁড়ানো এক জনের দাবি, ‘‘এটা কোনও রাজনৈতিক দল দিচ্ছে না। আমরা গ্রামবাসীরাই এই আয়োজন করেছি।’’ সঙ্গে সঙ্গেই লাইনে দাঁড়ানো এক প্রবীণ বলে ওঠেন, ‘‘এখানে সবাই তৃণমূল।

গলসির উড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বুথের ভেতরেই ভোটারদের নকুলদানা বিলি করতে দেখা গিয়েছে। ঝুড়ি গ্রামের লক্ষ্মী বাউড়ি, মসজিদপুরের রতন বাগদিরা বলেন, ‘‘ভোট কোথায় দিয়েছি সেটা বড় কথা নয়। ছোলা-মুড়ি পাওয়াটাই আনন্দ।’’

বিরোধীদের অভিযোগ, যেখানেই তৃণমূল বুথ কব্জা করতে পারেনি সেখানে দিনভর মুড়ি-রাজনীতি চলেছে। ছোলা, পেঁয়াজ, লঙ্কা, শসা দিয়ে মুড়ি বিলি করা হয়েছে দু’হাতে। খণ্ডঘোষের বিজেপি পর্যবেক্ষক বিজন মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘রায়না ও কাটোয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে বহিরাগতরা এসেছে। বিভিন্ন জায়গায় রাতে ভাত-মাংস খাওয়ানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছি।’’

যদিও তৃণমূল নেতাদের দাবি, বেশির ভাগ জায়গাতেই স্থানীয় নেতারাই মুড়ির প্যাকেট দিয়েছেন। কে নিয়েছে, কে নেয়নি তার হিসেব রাখা হয়নি। তৃণমূল বিধায়ক নবীন বাগের কথায়, ‘‘ভোটারদের প্রভাবিত করার কোনও ব্যাপারই নেই। যে কোনও উৎসবেই একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া, মুড়ি খাওয়ার চল রয়েছে। দলের কর্মীরাও খান, গ্রামের মানুষদেরও দেওয়া হয়।’’

Election 2019 Phase 6 Lok Sabha Election 2019 Puff Rice Cucumber
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy