প্রতীকী ছবি।
ভোট মিটে গেলেও অশান্তি মিটছে না বর্ধমানে। সোমবার ভোটগ্রহণ শেষের পরেই গোলমাল শুরু হয় পূর্ব বর্ধমানের নানা প্রান্তে। মঙ্গলবার রাতেও বর্ধমান শহরে সংঘর্ষ হয়। আক্রান্ত হয় পুলিশ। বুধবার সকালে কাটোয়ায় এক সিপিএম কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় চাপানউতোর তৈরি হয়েছে সিপিএম-তৃণমূলে। বিজেপির অভিযোগ, বর্ধমান শহরের বাবুরবাগে তাদের এক সমর্থকের বাড়ি ও মোটরবাইক ভাঙচুর করা হয় সোমবার। সে নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর বিজেপি-তৃণমূল গোলমাল চলে। তৃণমূলের অভিযোগ, রাতে পুলিশ এসে তাদের কর্মীদের মারধর করে। খবর পেয়ে পৌঁছন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বশির আহমেদ। তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, সংঘর্ষে এক পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হন। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কাটোয়ার শ্রীবাটিতে একটি বুথে সিপিএমের এজেন্ট ছিলেন সুকুর আলি শেখ। বুধবার ভোরে তাঁর বাড়ির উঠোনে চালাঘরে বোমা ফাটে। দেওয়ালের একাংশ ভেঙে পড়ে। তৃণমূলের কাটোয়া ২ ব্লক সভাপতি সুব্রত মজুমদারের অভিযোগ, ‘‘ভোটের সময়ে এলাকায় অশান্তি ছড়াতে বোমা মজুত করেছিল সিপিএম।’’ পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকে সুকুর পলাতক। পরিবারের অবশ্য দাবি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমা রেখে গিয়েছে। বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র দাসেরও অভিযোগ, ‘‘বুথে ছাপ্পা ভোটের প্রতিবাদ করেছিলেন আমাদের এজেন্ট। তাই তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।’’ বুধবার দুর্গাপুর স্টেশন বাজারে এক সিপিএম কর্মীকে মারধর ও দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy