Advertisement
২১ মে ২০২৪

মারধর করে লুঠ বাড়িতে

ফের লুঠপাট। ঘটনাস্থলও এক, আসানসোল। সালানপুর, ঊষাগ্রামের পরে এ বার আসানসোলের গাড়ুই গ্রামে বাড়ির সদস্যদের বেধড়ক মারধর করে লুঠের ঘটনা ঘটল।

তছনছ ঘর। —নিজস্ব চিত্র।

তছনছ ঘর। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৬ ০০:২৫
Share: Save:

ফের লুঠপাট। ঘটনাস্থলও এক, আসানসোল। সালানপুর, ঊষাগ্রামের পরে এ বার আসানসোলের গাড়ুই গ্রামে বাড়ির সদস্যদের বেধড়ক মারধর করে লুঠের ঘটনা ঘটল।

আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে স্থানীয় বাসিন্দা প্রভাত মণ্ডলের বাড়িতে ডাকাত পড়ে। পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত দেড়টা নাগাদ আচমকা বাড়িতে কারা যেন কড়া নাড়ে। আওয়াজ শুনে দরজা খুলে দেন প্রভাতবাবুর স্ত্রী ছায়ারানিদেবী। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে পাঁচ জন বাড়িতে ঢুকে পড়ে বলে জানান প্রভাতবাবু। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু হয় মারধর। জখম হন প্রভাতবাবু, ছায়ারানিদেবী ও তাঁর দুই ছেলে চন্দনবাবু এবং হারাধন মণ্ডল। প্রায় ঘণ্টাখানেক লুঠপাট চালিয়ে বাড়ির সদস্যদের পোশাক গায়ে চাপিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।

দুষ্কৃতীরা হামলা চালানোর খানিক বাদে মণ্ডলবাড়ির লোকজন চিৎকার শুনে জড়ো হন পড়শিরা। জখমদের উদ্ধার করে আসানসোল ও দুর্গাপুরের দু’টি বেসরকারি নার্সিংহোম ভর্তি করানো হয়। ওই বাড়ির বধূ সীমাদেবী জানান, দুষ্কৃতীদের মুখ কালো কাপড়ে বাঁধা ছিল। পরনে ছিল হাফ প্যান্ট ও গেঞ্জি। নিজেদের মধ্যে তারা হিন্দিতে কথা বলছিল বলে পরিবারের সদস্যরা জানান।

এই ঘটনার পরে এক বাসিন্দার ক্ষোভ, ‘‘জাতীয় সড়ক থেকে মাত্র দু’শো মিটার দূরে আমাদের গ্রাম। সেখানেই এই হাল!’’ এলাকায় যান স্থানীয় কাউন্সিলর শ্রাবণী মণ্ডল। কমিশনারেটের এসিপি (সেন্ট্রাল) বরুণ বৈদ্য বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের দ্রুত ধরা হবে।’’ আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ জানিয়েছে, লাগোয়া থানাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

loot
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE