Advertisement
E-Paper

শাশুড়ির ‘প্রেমিক’কে থেঁতলে খুন, ধৃত ৫

অসমবয়সি সম্পর্ক মানতে রাজি ছিল না পরিবার। পাড়ার মোড়ল গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র থাকারও নিদান দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৯ ০০:৪০
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

অসমবয়সি সম্পর্ক মানতে রাজি ছিল না পরিবার। পাড়ার মোড়ল গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র থাকারও নিদান দেন। তার পরেও পরিজনেদের ‘আক্রোশ’ কমেনি। বুধবার সন্ধ্যায় গলসির পারাজে দামোদরের সেচখালের বাঁধে দেহ মেলে বুড়ো মাঝির (২২)। বৃহস্পতিবার রাতে মাঝবয়েসী শাশুড়ির ‘প্রেমিক’কে থেঁতলে খুনের অভিযোগে জামাই-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, বছর সাতেক আগে স্বামী মারা যান ওই মহিলার। মেয়ে, জামাইয়ের সঙ্গে এক গ্রামেই থাকতেন তিনি। বছর দেড়েক আগে বুড়োর সম্পর্কে তার সম্পর্ক হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, পরিবার তো বটেই গ্রামের কেউ সম্পর্ক মেনে নেননি। বাধ্য হয়ে পাশের গ্রামে বসবাস শুরু করেন ওই দু’জন। পুলিশের দাবি, ওই দিন কাজে যাওয়ার সময় নিহতের সঙ্গে বচসা বাধে এই পাঁচ জনের। পুরনো আক্রোশের জেরেই তাঁকে পিটিয়ে, থেঁতলে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। খোঁজ মিলছে না ওই মহিলারও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা ইটের টুকরো মিলেছে। তবে খুন পরিকল্পিত নয় বলেও প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান। পুলিশের দাবি, নিহত যুবক হোটেলে কাজ করতেন। ওই দিন সেচখালের বাঁধে তাঁকে ঘিরে ধরেন ধৃত জামাই কাঞ্চন মুর্মু-সহ লখীন্দর টুডু, কালীচরণ মুর্মু, লখীরাম সরেন ও মঙ্গল কিস্কু। কথা কাটাকাটি থেকে বচসা বাধে। এলোপাথারি মার ও মাথায় ভারী কিছু দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছে বলেও পুলিশের অনুমান। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এই খুনের মুল চক্রী কাঞ্চন। বাকিরা কাঞ্চনের সহযোগি হিসাবে কাজ করেছে।’’ ধৃতদের শুক্রবার বর্ধমান আদালতে তোলা হলে কাঞ্চন ও লখীন্দরকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। বাকিদের ১০ জুন পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজত পাঠানো হয়েছে।

Murder Crime Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy