গাছ থেকে ঝুলছে নাইলনের দড়ি। তার এক দিকের ফাঁস জড়ানো যুবকের গলায়, অন্য প্রান্ত পেঁচিয়ে রয়েছে কিশোরীর গলায়। সোমবার যুগলের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার মণ্ডলগ্রামে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃতদের নাম অমিত রানা। বছর পঁচিশের ওই যুবক পরিযায়ী শ্রমিক। এখন কেরলে কাজ করেন। কিছু দিন আগে তিনি বাড়ি ফেরেন। সোমবার সকালে বাড়ির কাছে একটি গাছে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ওই গাছ থেকেই উদ্ধার হয় নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ।
প্রতিবেশীদের দাবি, দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মেয়েটির পরিবার ওই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তারা অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে মেয়ের। এর জেরেই যুগল আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। অমিতের কাকা শ্রীমন্ত রানা বলেন, ‘‘ভাইপো রাজমিস্ত্রির কাজ করত। একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। তবে আমরা আগে থেকে কিছু জানতাম না। শুনলাম, ওই মেয়েটির পরিবার ওর বিয়ে ঠিক করেছিল। তার পর থেকে মেয়েটি নিখোঁজ ছিল। ভাইপো কখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল, কেউ জানতে পারিনি।’’
আরও পড়ুন:
মৃতার পরিবার সূত্রেও জানা গিয়েছে, রবিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিল ওই নাবালিকা। তার খোঁজ চলছিল। সোমবার সকালে তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে বাড়িতে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মেমারি থানার পুলিশ। তারা দুটি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে। মৃতদের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।