Advertisement
E-Paper

সম্পর্কের টানাপড়েনের জের, দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২০ ০২:৩৭
ধৃত ভুপিন্দর সিংহ। নিজস্ব চিত্র

ধৃত ভুপিন্দর সিংহ। নিজস্ব চিত্র

বার্নপুরের রাধানগর রোড এলাকার বাসিন্দা কিশোর স্মরণজিৎকে খুনের অভিযোগে তার বাবা ভুপিন্দর সিংহকে গ্রেফতার করল হিরাপুর থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় তাদের কাছে ছেলেকে খুনের কথা স্বীকার করেন ভুপিন্দর। বুধবার ধৃতকে আসানসোল আদালতে হাজির করানো হলে, পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পরিবারের লোকেরা ১২ বছরের কিশোর স্মরণজিৎকে বাড়ি থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, স্মরণজিৎকে কপালের মাঝখানে গুলি করে খুন করা হয়। কী কারণে ওই কিশোর খুন হল, তা জানতে ওই দিন রাতেই তার বাবা ভুপিন্দরকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে তার কথায় অসংলগ্নতা ধরা পড়ে বলে দাবি পুলিশের।

হিরাপুর থানা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিনই ভুপিন্দরকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছিল পুলিশ। কারণ, ওই রাতে তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন, ছেলের আবদারে শিঙাড়া কিনতে দোকানে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে পাড়ার একটি দোকান থেকে সুজি ও চিনি কিনে ফিরেছিলেন। যে যে দোকান থেকে এগুলি কিনেছিল, জিজ্ঞাসাবাদে সেই দোকানগুলির নামও সে পুলিশকে জানিয়েছিল। তদন্তকারীদের দাবি, ওই দোকানগুলিতে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, ঘটনার রাতে এক বারের জন্যও ওই সব দোকানে যাননি ভুপিন্দর। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কিছুক্ষণ পর পরই ভুপিন্দরকে জেরা করে পুলিশ। প্রথম রাতে পুলিশের কাছে দেওয়া তাঁর বিবরণের সঙ্গে পরের দিকের বিবরণ বহু ক্ষেত্রেই অমিল ধরা পড়েছে। পুলিশের দাবি, শেষে তীদের কাছে ছেলেকে খুন করার কথা স্বীকার করেন তিনি। তার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

ছেলেকে খুন করার কারণ কী?

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, কোনও সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরে এই কাজ করেন ভুপিন্দর। ঘটনাস্থল থেকে মেলা কার্তুজের খোল থেকে পুলিশির অনুমান, খুনে পাইপগান ব্যবহার করা হয়। তদন্তকারীদের দাবি, বছর কয়েক আগে বার দুই অবৈধ অস্ত্রের বেচা-কেনার কারবারের সঙ্গেও জড়ান ভুপিন্দর। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের ডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস বলেন, ‘‘তদন্তে সব দিক খতিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, ঘরের দরজার বাইরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে পুলিশ। পিছনের দিকে খুলে রাখা জানলার পাল্লা দিয়ে দেখা যায়, ঘরের ভিতরে তখনও জ্বলছে এলইডি আলো।

Crime Murder Arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy