Advertisement
E-Paper

টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হতে ভিড়

টিকিট না পাওয়া সেই সব বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলরদের অনেকেই বুধবার মনোনয়নপত্র তুললেন। নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আরও কয়েকজন তৃণমূল কর্মী বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র তুলেছেন এ দিন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৭ ০১:১৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

দলের অন্দরে একাংশের আপত্তিতে প্রার্থিতালিকায় নাম ওঠেনি তাঁদের। দুর্গাপুরে মঙ্গলবার তৃণমূল তালিকা ঘোষণা করার পরে প্রকাশ্যে কোনও ক্ষোভ-বিক্ষোভ হয়নি। কিন্তু টিকিট না পাওয়া সেই সব বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলরদের অনেকেই বুধবার মনোনয়নপত্র তুললেন। নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আরও কয়েকজন তৃণমূল কর্মী বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র তুলেছেন এ দিন।

তৃণমূলের এ বারের প্রার্থিতালিকা থেকে বাদ পড়েছেন গত বারের ১৪ জন কাউন্সিলর। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন গোলমাল জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। কেউ বাদ পড়েছেন সংরক্ষণের গেরোয়। আবার কাউকে বাদ পড়তে হয়েছে সদ্য দলে যোগ দেওয়া কাউকে প্রার্থী হিসেবে জায়গা করে দিতে। বাদ পড়া বিদায়ী কাউন্সিলরদের দাবি, তৃণমূল যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতেও একাধিক ‘বিতর্কিত’ প্রার্থী রয়েছেন।

গত বার সিপিএমের কাছে অল্প ভোটে হেরে যাওয়া দলের এক পুরনো নেতা এ বারও টিকিট পাবেন বলে আশা করেছিলেন। কিন্তু তা হয়নি। তৃণমূলের একটি অংশ জানায়, টিকিট না পাওয়া নেতাদের ক্ষোভ ছড়িয়ে গিয়েছে নিচুতলার কিছু কর্মীর মধ্যেও। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিনের বা দলের দুর্দিনে সঙ্গে থাকা কর্মীদের অনেককেও প্রার্থী করা হয়নি। ওই নেতার অনুগামীরা জানান, রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে শীঘ্র তাঁরা দলে তাঁদের গুরুত্ব বোঝাবেন নেতৃত্বকে। তাতেও কাজ না হলে ওই নেতা তাঁর ওয়ার্ডে নির্দল হিসেবে দাঁড়াবেন।

মঙ্গলবার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর অরবিন্দ নন্দী প্রার্থিতালিকা ঘোষণার আগেই পরিস্থিতি আঁচ করে নির্দল প্রার্থী হিসেবে স্ত্রী সুনীতাদেবীর মনোনয়ন তোলেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘পুরসভার ৩৬ থেকে ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে কে তৃণমূল আর কে নন, সব ঘোঁট পাকিয়ে দিয়েছেন নেতারা। মানুষের মতামতকে উপেক্ষা করার ফল তাঁদের পেতে হবে।’’ বুধবার নির্দল হিসেবে মনোনয়ন তুললেন বিদায়ী কাউন্সিলর নিমাই গড়াই, চন্দন সাহা, পল্লবরঞ্জন নাগেরাও। এ ছাড়া কয়েকটি ওয়ার্ডের জন্য মনোনয়ন তুলেছেন নিমাইবাবুর স্ত্রী চম্পা গড়াই-সহ আরও কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। সব মিলিয়ে মোট ১১টি ওয়ার্ডের মনোনয়ন তোলা হয়েছে বুধবার বিকেল পর্যন্ত।

এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে আঁচ করে মঙ্গলবার প্রার্থিতালিকা প্রকাশের সময়েই দুর্গাপুরের দায়িত্বে থাকা তৃণমূলের এক নেতা দাবি করেছিলেন, দলের নির্দেশ না মেনে ‘গোঁজ’ হিসেবে কেউ দাঁড়ালে তাঁকে বহিষ্কার করা হবে। নির্দল হিসেবে ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র তোলা এক বিদায়ী কাউন্সিলরের এ দিন পাল্টা প্রতিক্রিয়া, ‘‘বহিষ্কারের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। দায়ে-বিপদে পাশে যিনি থাকেন, মানুষ তাঁকেই ভরসা করেন। তাই মানুষের মতামত নিয়েই এগোতে হবে। বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়ার অভ্যাস না পাল্টালে শহরের মানুষও ছেড়ে কথা বলবেন না।’’

TMC Election Candidate Independent candidate তৃণমূল কংগ্রেস
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy