Advertisement
E-Paper

রাস্তা জুড়ে বাজার, নাকাল পথচারী

দিন কয়েক আগে এক সকালে ওই ঘটনা নিয়ামতপুর-লিথুড়িয়া রোডের। ফুটপাথ বড় দোকানের দখলে। রাস্তায় বসছে বাজার। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এমনই পরিস্থিতি হয়ে থাকে নিয়ামতপুর-লিথুড়িয়া রাস্তা ও স্টেশন রোডের। দিনের আলো ফুটতে না ফুটতেই রাস্তার উপরে সার বেঁধে রাস্তায় বসে পড়েন মাছ, আনাজ, মুরগি-সহ নানা সামগ্রীর বিক্রেতারা।

জট: দোকান-বাজার কার্যত রাস্তায় উঠে আসায় চলা দায় নিয়ামতপুরে। নিজস্ব চিত্র

জট: দোকান-বাজার কার্যত রাস্তায় উঠে আসায় চলা দায় নিয়ামতপুরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৭ ০০:৫৯
Share
Save

কর্মস্থলে পৌঁছনোর তাড়ায় মোটরবাইকে গতি বাড়াচ্ছিলেন এক খনিকর্মী। এক পথচারীর পাশা কাটাতে গিয়ে বিপত্তি। জায়গার অভাবে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন আনাজের ঝুড়িতে। উঠে দাঁড়িয়ে বিক্রেতাকে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘ফুটপাথে বসতে পারেন না?’’ বিস্মিত বিক্রেতার জবাব, ‘‘ফুটপাথ কোথায়?’’

দিন কয়েক আগে এক সকালে ওই ঘটনা নিয়ামতপুর-লিথুড়িয়া রোডের। ফুটপাথ বড় দোকানের দখলে। রাস্তায় বসছে বাজার। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এমনই পরিস্থিতি হয়ে থাকে নিয়ামতপুর-লিথুড়িয়া রাস্তা ও স্টেশন রোডের। দিনের আলো ফুটতে না ফুটতেই রাস্তার উপরে সার বেঁধে রাস্তায় বসে পড়েন মাছ, আনাজ, মুরগি-সহ নানা সামগ্রীর বিক্রেতারা। তার মধ্যে যাতায়াত করে সাইকেল, মোটরবাইক থেকে গাড়ি, বাস— সব রকম যানবাহনই। নাভিশ্বাস ওঠে পথচারীদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে সমস্যা মেটানোর আবেদন করেও ফল মেলেনি।

এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, লিথুড়িয়া ও স্টেশন রোডের দু’পাশের রাস্তার অনেকাংশ দখল করে বাজার বসেছে। দু’পাশের বড় দোকানদারদের অনেকে ফুটপাথ দখল করেছেন। জিনিসপত্র প্রায় রাস্তায় চলে এসেছে। রাস্তার উপরেই চলছে আনাজ, মাছ কেনাবেচা ও মোটরবাইক পার্কিং। ফলে, ভয়ানক যানজট হচ্ছে। তার মধ্যেই বিপজ্জনক ভাবে ছুটছে বাস, লরি ও অ্যাম্বুলেন্স। প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানান এলাকাবাসী।

স্কুল শিক্ষিকা চৈতালি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রোজ যানজটে পড়িমরি করে স্কুলে যেতে হয়। কেউই নজর দিচ্ছেন না।’’ খনিকর্মী মহম্মদ সাদিক হুসেইন বলেন, ‘‘অফিসে যাওয়ার এটা একমাত্র রাস্তা। কিন্তু দখলদারদের জন্য যানজট হচ্ছে। সময়ে পৌঁছতে পারছি না।’’ এলাকায় পাঁচটি সরকারি ও একাধিক বেসরকারি স্কুল আছে। ইসিএলের একটি ওয়ার্কশপ ও কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি কার্যালয় আছে। নিত্যদিন কয়েক হাজার যানবাহন চলে। ট্রেনযাত্রী থেকে পথচারীদের একমাত্র ভরসা এই রাস্তা থেকে দখলদার উচ্ছেদের আবেদন উঠেছে বহু বার।

শহরের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান, তিনি ওই এলাকা পরিদর্শন করে দখলদারদের রাস্তা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মেয়র বলেন, ‘‘নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখতে পুরসভা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। আমরা বাজার বসানোর জায়গা দেখেছি।’’

Jam Road Neamatpur Traffic

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}