অবশেষে: ফের আসানসোল স্টেডিয়ামে লিগের খেলা শুরু। নিজস্ব চিত্র
স্টেডিয়াম কমিটি ভেঙে দেওয়ার ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল খেলা। সপ্তাহ দুয়েক পরে আসানসোল স্টেডিয়ামে ফের শুরু হল লিগের খেলা। তবে মাঝে এ ভাবে খেলা বন্ধ থাকায় ক্রিকেট লিগ শেষ হতে এ বারও দেরি হবে বলে জানায় মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা। বিষয়টি নিয়ে অসন্তুষ্ট ক্রীড়া সংস্থার লিগে খেলা নানা ক্লাবও।
লিগ শেষ হতে প্রতি বারই গরম পড়ে যায় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্লাবগুলি। এ বার আসানসোল স্টেডিয়াম বন্ধ থাকায় সমস্যা আরও বাড়ল বলে ক্রীড়া সংস্থার কর্তাদের দাবি। স্টেডিয়াম কমিটির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক সপ্তাহ দুয়েক আগে আসানসোল সার্কিট হাউসে বৈঠক করে জানিয়ে দেন, পুরনো কমিটি আর স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকছে না। এ বার জেলাশাসকের নিয়ন্ত্রণেই স্টেডিয়াম পরিচালিত হবে।
তার পর থেকেই মাঠ বন্ধ ছিল। বন্ধ হয়ে পড়ে টেনিস, ব্যাডমিন্টন ও সাঁতারের প্রশিক্ষণও। মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার এক কর্তা অভিযোগ করেন, স্টেডিয়াম লাগোয়া এলাকার কিছু কিশোর ও যুবক এই সুযোগে ইচ্ছেমতো ঢুকে খেলাধুলো করেছে মাঠে। ফলে, ক্রিকেটের পিচ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় ছিলেন তাঁরা। গরু, ছাগলও চরেছে। এর মধ্যে শুধু বিশেষ অনুমতি নিয়ে পুলিশ একটি খেলার আয়োজন করেছিল। মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক অমল সরকার বলেন, “ব্যাডমিন্টন, টেনিস ও সাঁতারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় টাকার বিনিময়ে। হঠাৎ স্টেডিয়াম বন্ধের জেরে প্রশিক্ষণ প্রার্থীদের সময় নষ্ট হয়েছে।”
নতুন জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব সম্প্রতি বিষয়টি জানার পরে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেন। এর পরেই শনিবার থেকে ফের লিগের খেলা শুরু হয়েছে ওই মাঠে। তবে অমলবাবু বলেন, ‘‘এ বারও ঠিক সময়ে লিগ শেষ করা যাবে না। দু’সপ্তাহ পিছিয়ে যাবে। অনূর্ধ্ব ১৪ ও ১৭ লিগও পিছিয়ে গেল।’’ যা শুনে হরিপুর ক্রিকেট অ্যাকাডেমির কর্তা সুব্রত ঘোষাল বলেন, ‘‘প্রতি বারের মতো এ বারও গরমে খেলতে হবে। আয়োজক সংস্থা যদি খেলাগুলি সকালে আয়োজন করে তবে সুবিধে হয়।’’ অনূর্ধ্ব ১৪ ও ১৭ লিগে খেলে রানিগঞ্জে অশোক সঙ্ঘ। দলের কর্তা মলয় রায় বলেন, ‘‘গরমে বাচ্চাদের খেলতে সমস্যা হয়। সময়ে লিগ শেষ করতে প্রয়োজনে মাঠের সংখ্যা বাড়ানো হোক।’’ লিগের খেলা শুরু হলেও এই মাঠে যে দু’টি ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্প চলে সেগুলি বন্ধ থাকছে বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy