প্রতীকী ছবি।
প্রধান শিক্ষক তথা স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদকের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে গলসির পুরষা উচ্চ বিদ্যালয়ে (উচ্চ মাধ্যামিক)। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শুভাশিস চন্দ্রর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি শেখ ফিরোজ আহম্মেদ। তাঁর অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক তথা স্কুল পরিচালন কমিটির সম্পাদক শুভাশিস সভাপতি ও অন্য সদস্যের সই জাল করে ‘চাইল্ড কেয়ার লিভ’ (সিসিএল) বা ‘মেডিক্যাল লিভের’ মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। অভিযোগ স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক দাবি, তিনি কমিটির কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন।
১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত স্কুলটিতে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৮০০। পরিচালন সমিতির সভাপতির অভিযোগ, ‘‘সিসিএল, এমএল-সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অবৈধ ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন প্রধান শিক্ষক। একাধিক রেজুলেশনে আমার ও স্কুল পরিচালন কমিটির সই জাল করা হয়েছে। বিষয়টি নজরে আসতেই কৈফিয়ত তলব করা হয়। তখন সভাপতির সইগুলি সাদা কালি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।’’ তাঁর আরও দাবি, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পরিচালন কমিটির বৈঠকে সকল সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকেরা হাজির ছিলেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ছিলেন না। সমস্ত বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে ব্লক স্তর থেকে জেলাশাসক পর্যন্ত চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। প্রধান শিক্ষকের যদিও দাবি, ‘‘খুবই জরুরি ছিল বিষয়গুলি। পরিচালন সমিতির সবাইকে সেই সময়ে পাওয়া যায়নি। তাই আমিই রেজুলেশন তৈরি করে স্বাক্ষর করে দিয়েছিলাম।’’ পরবর্তীতে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন বলেও জানান তিনি। স্কুল পরিদর্শক (হাই) শ্রীধর প্রামাণিক বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। এই নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’’ ওই স্কুলের নতুন পরিচালন কমিটি অনুমোদন পেয়েছে বলেো জানিয়েছেন পরিদর্শক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy