Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়

ফলে ভুল নিয়ে বৈঠক

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের পার্ট টু-র ফলাফলে ভুলত্রুটি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এত ভুলের কারণ জানতে চেয়ে ভবিষ্যতে এমন যেন আর না হয়, তা নিয়ে উপাচার্যকে সতর্কও করেন তিনি। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন পার্থবাবু। দুপুরে নবান্নে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার, রেজিস্ট্রার রজত ভট্টাচার্য ও পরীক্ষা নিয়ামক দীপককুমার সোম।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৫ ০১:২৯
Share: Save:

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের পার্ট টু-র ফলাফলে ভুলত্রুটি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এত ভুলের কারণ জানতে চেয়ে ভবিষ্যতে এমন যেন আর না হয়, তা নিয়ে উপাচার্যকে সতর্কও করেন তিনি।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন পার্থবাবু। দুপুরে নবান্নে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার, রেজিস্ট্রার রজত ভট্টাচার্য ও পরীক্ষা নিয়ামক দীপককুমার সোম। সন্ধ্যায় তৃণমূল ভবনে পার্থবাবু বলেন, ‘‘উপাচার্যকে বলেছি, ভবিষ্যতে সময় মতো পরীক্ষা নিয়ে নির্ভুল ফল প্রকাশ করতে হবে।’’ ফলাফল বের করা ও মার্কশিট তৈরির কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। বাইরের সেই সংস্থার কাছে পরীক্ষার ফলাফল সংক্রান্ত তথ্য থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তা নেই বলে জানান মন্ত্রী। এর কারণ জানতে চেয়ে প্রাক্তন পরীক্ষা নিয়ামককে চিঠি পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষা দেওয়ার প্রায় ন’মাস পরে পার্ট ২ বি-কম এবং‌ বিএসসি ফল প্রকাশ হয়। বিএ-র ফল বেরোয় আরও পরে। তা সত্ত্বেও মার্কশিটে প্রচুর গোলমাল ধরা পড়ে। কেউ দু’টি মার্কশিট পান, কারও প্রাপ্য নম্বর আবার ওই বিষয়ের মোট নম্বরের থেকে বেশি আসে। এর প্রতিবাদে বেশ কয়েক বার বিক্ষোভ-অবরোধ হয়েছে বর্ধমানে। সোমবারও দ্রুত ফলাফল সংশোধনের দাবিতে ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখান বাঁকুড়া শহরে। এ দিন উপাচার্য মন্ত্রীকে জানিয়েছেন, প্রায় সাড়ে ছ’শো ছাত্রছাত্রীর ফলে ভুল হয়েছিল। ইতিমধ্যে বিভিন্ন কলেজের তরফে এ ব্যাপারে রিপোর্টও পৌঁছেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক জানান, ফলাফল সংক্রান্ত কোনও তথ্য দীর্ঘদিন ধরেই তাদের হাতে নেই। তবে মার্কশিটে গণ্ডগোল শোধরানোর কাজ শুরু হয়েছে বলে তাঁর দাবি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি শুনলাম, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জন পরীক্ষার্থী না কি ন’বার পর্যন্ত পরীক্ষায় বসে স্নাতক হতে পারেন। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিতে নেই। কী করে এটা হচ্ছে, তা দেখতে বলেছি কর্তৃপক্ষকে।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE