জালনোট কারবারের অভিযোগে ধৃত নেতা-সহ দুই! সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হাতেনাতে ধরল আসানসোল থানার পুলিশ

জাল নোট কারবারের অভিযোগে ধরা পড়লেন এমআইএম ( মিম) নেতা! শুক্রবার রাতে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত নেতার পাশাপাশি আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার ধৃতদের আদালতে হাজির করিয়ে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন মিমের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি দানিশ আজিজ। এ ছাড়াও আসানসোল রেলপার চাঁদমারির বাসিন্দা মহম্মদ লাল খানকেও গ্রেফতার করেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। ডিসিপি সেন্ট্রাল ধ্রুব দাসের কথায়, শুক্রবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে উষাগ্রামের একটি অভিজাত হোটেলে অভিযান চালায় আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। তখনই জাল নোট-সহ হাতেনাতে ধরা পড়ে যান দু’জন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয়, ওই দু’জন জাল নোটের কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ধৃতদের কাছ থেকে বালতি, রাসায়নিক, বেশ কিছু সাদা কাগজ, বৈদ্যুতিন আয়রন এবং নগদ দেড় লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। শনিবার ধৃতদের আসানসোল আদালতে হাজির করানো হয়। সেখানে পুলিশের তরফে ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন করা হয়েছিল। শেষমেশ ধৃতদের পাঁচ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

পুলিশ সূ্ত্রে খবর, ঘটনায় এখনও তদন্ত চলছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ধৃতেরা উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ডের মতো ভিন্‌রাজ্যের পাশাপাশি বাংলার নদিয়া, মালদহ, মুর্শিদাবাদে জাল নোটের কারবার চালাতোন। এই চক্রে আরও কেউ জড়িত রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে ধৃত মিম নেতা দানিশের দাবি, তাঁকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ধৃতের বাবা মহম্মদ আজিজও অভিযোগ করেছেন, তাঁর ছেলেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ফাঁসানো হয়েছে। শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।