সিপিএমের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাগিং-বিতর্কে তৃণমূলকে একহাত নিলেন সিপিএমের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বর্ধমানে বাম ছাত্র-যুব সংগঠন এসএফআই ও ডিওয়াইএফের কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মীনাক্ষী দাবি করেন, যাদবপুরের মতো সমস্ত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলেই তৃণমূলের বহিরাগতরা আছেন। হস্টেলের প্রতি এত ‘মোহ’ কেন, সে প্রশ্নও তোলেন ডিওয়াইএফের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী। তাঁর বক্তব্যকে আমল দিতে চায়নি তৃণমূল।
কয়েক দিন আগে বর্ধমান বিবেকানন্দ কলেজের সামনে এসএফআই ও ডিওয়াই এফ কর্মীদের উপরে তৃণমূল কর্মীরা হামলা চালান বলে অভিযোগ। ‘আক্রান্ত’ হন এসএফআই জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরী-সহ কয়েক জন। ওই ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন বর্ধমান স্টেশন থেকে মিছিল করে দুই সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কার্জন গেটে জড়ো হন। সেখানে প্রতিবাদসভা হয়। পরে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেন সংগঠনের নেতৃত্ব। মীনাক্ষীর দাবি, ‘‘কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতিতে তৃণমূল নেতারা থাকেন। সেখানে ছাত্রেরা রাজনীতি করেন না। তৃণমূল কংগ্রেসের কাকা, জ্যাঠা, দাদুরা ছাত্র রাজনীতি করেন।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘২০১১ সালের পরে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের টেন্ডারে বদল হয়। যারা সিনেমার পোস্টার ছাপতেন, তারাই এখন প্রশ্ন আর অ্যাডমিট ছাপছে। সে কারণে প্রচুর ভুল হচ্ছে। আর তাতে তৃণমূল নেতাদের পকেট ভরছে।’’
বামনেত্রীর দাবি, রাজ্যের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের যাতায়াত রয়েছে। প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যাঁরা দোষ করছেন, তাঁরা শাস্তি পাচ্ছেন না। আর যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের নামে মামলা হচ্ছে। অনির্বাণের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা তারই পরম্পরা বলে মনে করেন মীনাক্ষী। পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ হওয়ার আবেদন করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy