Advertisement
E-Paper

‘রাতে এক্স-রে হয় না?’ সরকারি হাসপাতালের পরিষেবায় বিস্মিত মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা!

শৌচাগার থেকে বার হওয়ার সময় পড়ে গিয়েছিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। ডান পায়ের একটি আঙুলে চোট পান তিনি। সন্ধ্যা হতেই ব্যথা ক্রমশ চাগাড় দিতেই চিকিৎসকের কাছে ছোটেন।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:৫৮
Siddiquallah Chowdhury

সরকারি হাসপাতালে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। —নিজস্ব চিত্র।

সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মন্ত্রী। পরিষেবা নিয়ে কার্যত বিস্মিত হয়ে গেলেন তিনি। আর এ নিয়ে শোরগোল পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে।

মঙ্গলবার সকালে শৌচাগার থেকে বার হওয়ার সময় পড়ে গিয়েছিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। ডান পায়ের একটি আঙুলে চোট পান তিনি। সন্ধ্যা হতেই ব্যথা ক্রমশ চাগাড় দিতেই চিকিৎসকের কাছে ছোটেন। প্রথমে মন্ত্রী গিয়েছিলেন মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা মন্ত্রীর আঙুল পরীক্ষার পর জানান এক্স-রে করার প্রয়োজন আছে। মন্ত্রী ওই হাসপাতালেই এক্স-রে করিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করতেই ‘সমস্যার শুরু’। হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাঁকে জানানো হয় হাসপাতালে ওপিডি-র সময় এক্স-রে হলেও রাতে এক্স-রে করার কোনও ব্যবস্থা নেই। আর এতেই চটে যান গ্রন্থাগার মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এত বড় হাসপাতাল। আর সেখানে রাতে এক্স-রে হয় না? আমার জানা ছিল না।’’ সন্ধ্যায় মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে সেখানে এক্স-রে করাতে না পেরে অবাক মন্ত্রী পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অন্য দিকে, সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে খোদ মন্ত্রীর এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।

সিদ্দিকুল্লার এই মন্তব্যের পর কটাক্ষের সুযোগ হাতছাড়া করেনি বিরোধীরা। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, ‘‘যেখানে রাজ্যের মন্ত্রীর এক্স-রে সরকারি হাসপাতালে হয় না, তাঁকে ফিরে যেতে হয়, সেখানে সাধারণ মানুষের কী হাল হয় তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না।’’ অন্য দিকে, মন্ত্রী থামছেনই না। তাঁর বিস্ময় ভাবও যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘‘এত বড় হাসপাতালে রাতে এক্স-রে হয় না, এটা আমার জানা ছিল না।’’ পর ক্ষণেই তিনি বলেন, ‘‘আমি চেষ্টা করব যাতে মানুষের সুবিধার্থে রাতেও এক্স-রে করার ব্যবস্থা করা যায়।’’ মন্ত্রীর স্বগতোক্তির সুরে বলতে থাকেন, ‘‘রাজ্যে ৪২টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। চিকিৎসকেরাও অবশ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভাল পরিষেবা দেওয়ার।’’

Siddiqullah Chowdhury Minister Government Hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy