সন্ধ্যা থেকেই চলছিল তুমুল বৃষ্টি। তার মধ্যেই হাসপাতালে হাজির মন্ত্রী।
কিছুদিন আগেই সপ্তাহে এক দিন সন্ধ্যায় হাসপাতালে এসে রোগীদের সুবিধা-অসুবিধার কথা খোঁজ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এ দিন ছিল তারই প্রথম দিন। মেডিসিন, শল্য, শিশু বিভাগ মিলিয়ে প্রায় ২০০ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। প্রত্যেক ওয়ার্ডে গিয়ে চিকিৎসা, খাবার, পরিষেবা, ওষুধ ঠিকঠাক মিলছে কি না খোঁজ নেন মন্ত্রী। এক রোগী জানান, তাঁর বিপিএল কার্ড নেই। হাসপাতালে ভর্তি হলেও বেশ কিছু ওষুধ তাঁকে কিনতে হয়েছে। মন্ত্রী হাসপাতাল সুপারকে জানান ওই রোগীর পরিবার পঞ্চায়েত থেকে একটি শংসাপত্র নিয়ে এসে জমা দিলে তাঁকে যেন ওষুধ কেনার টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে একটি অপরিচ্ছন্ন বাগান দেখে মন্ত্রী সুপারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। নতুন চালু হওয়া এসএনসিইউ এবং এইচডিইউ বিভাগের পরিকাঠামোয় কোনও গলদ আছে কি না, সেখানে কত জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তা জানতে চান মন্ত্রী। স্বপনবাবু বলেন, ‘‘রোগীদের কোনও অসুবিধা হলে ঘটনাস্থলেই তা মেটানোর চেষ্টা করা হবে।’’ হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই বলেন, ‘‘মন্ত্রীকে প্রতি রবিবার পাওয়া গেলে অনেক সমস্যা সহজেই জানানো যাবে। রোগী এবং হাসপাতাল দু’পক্ষই লাভবান হবে।’’
এ দিনই মহকুমা হাসপাতালে দ্বিতল ভবনে অসুস্থ রোগীদের ওঠানোর জন্য বিশেষ সিঁড়ি তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, টানা সিঁড়ি বেয়ে উঠতে রোগীদের কষ্ট হয়। তাই এমন সিঁড়ি তৈরির কথা ভাবা হয়েছে যাতে রোগীদের ট্রলিতে চাপিয়ে সহজে দোতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। জেলা স্বাস্থ্য দফতরকেও জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy