Advertisement
০৬ মে ২০২৪

বন্ধ বাড়িতে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, লুঠপাট

প্রায় এক মাস ধরে বাড়ি তালা বন্ধ পড়েছিল। সোমবার রাতে প্রবল বৃষ্টির ফাঁকেই সেই বাড়িতে ঢুকে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে লুঠপাট চালাল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের বড়নীলপুরের আর্যপল্লিতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৬ ০১:৩০
Share: Save:

প্রায় এক মাস ধরে বাড়ি তালা বন্ধ পড়েছিল। সোমবার রাতে প্রবল বৃষ্টির ফাঁকেই সেই বাড়িতে ঢুকে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে লুঠপাট চালাল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের বড়নীলপুরের আর্যপল্লিতে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, আর্যপল্লির বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী দীপককুমার দত্ত ও তাঁর স্ত্রী মাসখানেক আগে থেকে শহরের সুভাষপল্লিতে মেয়ের বাড়িতে রয়েছেন। দোতলা বাড়িটি খালিই ছিল। মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশীরা দেখেন বাড়ির কোলাপসিবল গেটের তালা ভাঙা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ জানায়, কোলাপসিবল গেট-সহ বাড়ির তিনটি দরজার সাতটি তালা ভেঙে ঘরে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। এর পরে একতলার ঘরে তিনটি আলমারি ও দোতলার ঘরে একটি আলমারি ভাঙচুর করে বেশ কিছু জিনিসপত্র লুঠ করে। দীপকবাবুর দাবি, একটি সাইকেল ও গয়না চুরি গিয়েছে।

দীপকবাবুর মেয়ে মৌমিতা বসু জানান, ঘটনাটি জানার পর থেকে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। আর্যপল্লির বাড়িতে ফিরতেও ভয় পাচ্ছেন দীপকবাবু ও তাঁর স্ত্রী। আতঙ্ক ছড়িয়েছে আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যেও। পাশের বাড়িতে দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালালেও তাঁরা কিছু টের পাননি। স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায়, মন্টু পালরা জানান, বহু বছর ধরে তাঁরা পাড়ায় বাস করছেন। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা প্রথম ঘটল। নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, তালাগুলি ভাঙতে লোহার শাবল ও অন্যান্য যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ওই এলাকায় বাইরে থেকে অনেকে কাজ করতে আসেন। ঘটনায় তারা জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ পুলিশের। তবে দ্রুত তদন্ত করে লুঠপাটের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

miscreants looted
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE