Advertisement
E-Paper

নিখোঁজ বালিকার বস্তাবন্দি দেহ, ক্ষোভ দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যে

স্কুলে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি সাত বছরের মেয়েটি। আড়াই দিন নিখোঁজ থাকার পরে একটি ঝুপড়ি থেকে তার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করলেন প্রতিবেশীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৬ ০৩:১০
সালানপুরের এই ঝুপড়িতেই মেলে দেহ।

সালানপুরের এই ঝুপড়িতেই মেলে দেহ।

স্কুলে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি সাত বছরের মেয়েটি। আড়াই দিন নিখোঁজ থাকার পরে একটি ঝুপড়ি থেকে তার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করলেন প্রতিবেশীরা। সালানপুরে এই ঘটনার পরে এলাকায় সমাজবিরোধীদের আনাগোনা ও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এডিসিপি (পশ্চিম) বিশ্বজিৎ মাহাতা জানান, মেয়েটির এক পরিজন ও দুই প্রতিবেশীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে সালানপুরের রাধাবল্লভপুরের বাসিন্দা মেয়েটি বাড়ি থেকে সামান্য দূরে একটি শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে পড়তে গিয়েছিল। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সে না ফেরায় খোঁজ শুরু হয়। সোমবার রাতভর হদিস না মেলায় মঙ্গলবার সকালে সালানপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটির জন্মের পরেই তার মা মারা যান। বাবা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। মেয়েটি থাকত তার দাদু-দিদিমার কাছে। বৃহস্পতিবার তার দাদু বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সকালে নাতনির স্কুলে গিয়ে জানতে পারি, আগের দিন সেখানে ব্যাগ রেখে ও বেরিয়ে গিয়েছিল। শিক্ষিকা ভেবেছিলেন, বাড়ি চলে গিয়েছে।’’

বুধবার বিকেল থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন। রাতে আর তিষ্ঠোতে না পেরে ফের খোঁজ শুরু করেন। কাছেই দীর্ঘদিন তালাবন্ধ থাকা একটি ঝুপড়ির কাছে গিয়ে বোঝা যায়, গন্ধ আসছে সেখান থেকেই। তালা ভেঙে ঢুকে বাসিন্দারা দেখেন, মেঝেতে বস্তাবন্দি দেহটি পড়ে আছে। পুলিশ গিয়ে বস্তার মুখ খুলতেই দেহ বেরিয়ে পড়ে। এ দিন আসানসোল হাসপাতালে দেহ ময়না-তদন্তে পাঠায় পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে মেয়েটিকে। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, ধর্ষণ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। যদিও পুলিশ জানায়, ময়না-তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আগে এ ব্যাপারে কিছু বলা সম্ভব নয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকায় ইসিএলের জমি দখল করে ঝুপড়ি তৈরি করে বাস করছেন অনেকে। বুধবার রাতে যে ঝুপড়ি থেকে নাবালিকার দেহ মেলে, সেটিও জমি দখল করে তৈরি। প্রতিবেশীরা জানান, প্রায় দু’বছর ধরে তাঁরা ওই ঘরটি তালাবন্ধ দেখছেন। তবে তাঁদের একাংশের দাবি, রাতে ওই ঘর থেকে প্রায়ই লোকজনের গলার আওয়াজ পাওয়া যায়। তাঁদের আরও দাবি, সামনেই রয়েছে ইসিএলের সামডিহি কোলিয়ারি। কয়লা চোরেরা রাতে সেখান থেকে কয়লা চুরির ফাঁকে ওই ঝুপড়ি ঘরে বসে নেশা করে।

বাসিন্দাদের একাংশের আরও অভিযোগ, সীমানাবর্তী এই এলাকায় লাগোয়া রাজ্য থেকে নিয়মিত দুষ্কৃতীরা সালানপুরে ঢুকে দুষ্কর্ম করে। অভিযোগ, পুলিশ সব জেনেও হাত গুটিয়ে থাকে, সীমানায় কড়াকড়ি করে না। সিপিএম নেতা নুরুল ইসলামের অভিযোগ, ‘‘পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা।’’ বারাবনির তৃণমূল নেতা পাপ্পু উপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা পুলিশের কাছে খুনের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি।’’ পুলিশ অবশ্য নিষ্ক্রিয়তার কথা মানতে চায়নি।

missing slum girl
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy