Advertisement
E-Paper

পুলিশের হাত ছাড়িয়ে পালাল ফোন ‘চোর’

জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যাঁরা ধৃতকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁদের কর্তব্যে গাফিলতি রয়েছে কি না দেখা হচ্ছে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৫৬

মোবাইল চোর সন্দেহে ধৃতের এক্স-রে করানোর জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গিয়েছিল বর্ধমান থানার পুলিশ। সেখান থেকেই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় ধৃত শেখ সফিকুল। সোমবার রাত পর্যন্ত তাঁর খোঁজ পায়নি পুলিশ।

জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যাঁরা ধৃতকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁদের কর্তব্যে গাফিলতি রয়েছে কি না দেখা হচ্ছে।’’ এ দিকে, অভিযুক্ত পালানোর ঘটনায় পৃথক মামলা রুজু করে বর্ধমানের সিজেএমের কাছে রিপোর্ট পেশ করেছে পুলিশ। ওই রিপোর্ট পাওয়ার পরে সিজেএম রতনকুমার গুপ্ত জেলা পুলিশ সুপারকে ৩১ ডিসেম্বর রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্যে নির্দেশ দিয়েছেন। ওই নির্দেশে বর্ধমান থানার আইসিকে বাদ দিয়ে অন্য কোনও উচ্চপদস্থ কর্মচারীকে দিয়ে তদন্ত করার জন্য বলেছেন বিচারক।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে বর্ধমানের বাবুরবাগের বাসিন্দা ইন্দ্রনীল ঘোষের মোবাইল চুরি হয়। তাঁর বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সফিকুল। তাঁকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় ধাওয়া করেন ইন্দ্রনীলবাবু। ছুট লাগান সফিকুল। বেশ কিছুটা ছোটার পরে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবেকানন্দ ছাত্রাবাসের আবাসিকদের সাহায্যে সফিকুল ধরা পড়ে যায়। পুলিশ তাঁকে ধরে আনে। ইন্দ্রনীলবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে বর্ধমান থানা মামলাও রুজু করে। পুলিশের দাবি, ধৃতের কাছ থেকে চুরি যাওয়া মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়েছে।

কোনও অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করার আগে সরকারি হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। অভিযুক্তের সঙ্গে সেই স্বাস্থ্য-রিপোর্টও আদালতে পেশ করতে হয়। সেই নিয়ম মেনে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সফিকুলকে চিকিৎসা করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

বর্ধমান থানা সূত্রে জানা যায়, সফিকুল খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন। তাঁর এক্স-রে করানোর জন্য বলেন চিকিৎসক। শিশু বিভাগের উপরে এক্স-রে ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সফিকুল ভিতরে ঢুকলেও পুলিশ বাইরেই দাঁড়িয়েছিল। পুলিশের দাবি, সেখান থেকে বেরিয়েই পুলিশের হাত ছাড়িয়ে ছুট লাগায় ধৃত। পুলিশ কর্মীরা তাঁর পিছু ধাওয়া করেন। কিন্তু নিমেষে হাসপাতালের পাঁচিল টপকে পালিয়ে যায় সে। রাত পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও তাঁর খোঁজ পায়নি পুলিশ।

Thief Mobile Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy