E-Paper

একপেশে খেলায় অনায়াসে জয় বাগানের

দুপুর ২টো থেকে শুরু হয় খেলা। প্রথমার্ধে খেলা চলাকালীনও প্রচুর দর্শককে মাঠে ঢুকতে দেখা যায়।

কেদারনাথ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:১১
কালনার মাঠে।

কালনার মাঠে। ছবি: জাভেদ আরফিন মণ্ডল।

অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের অনূর্ধ্ব ১৮ এলিট ফুটবল লিগে রবিবার মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ৩-০ গোলে হারাল এসকেএম স্পোর্টস ফাউন্ডেশনকে। জাতীয় পর্যায়ে খেলায় মোহনবাগানের কোনও দল এই প্রথম খেলল কালনার অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়ামে। দলের খেলা দেখতে পূর্ব বর্ধমান ছাড়াও নদিয়া এবং হুগলি জেলার বহু মোহনবাগান সমর্থক মাঠে হাজির ছিলেন। জয়ের পরে মোহনবাগানের খেলোয়াড়েরা দর্শকদের ধন্যবাদ জানাতে মাঠ প্রদক্ষিণ করেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন গ্রুপে আটটি করে দল নিয়ে চলছে এই প্রতিযোগিতা। খেলছে কলকাতার তিন প্রধান ছাড়াও আইলিগ এবং আইএসএল খেলা সাতটি দল। গ্রুপ পর্বের খেলায় চ্যম্পিয়ন হয়ে এই প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ পেয়েছে একমাত্র কালনার এসকেএম স্পোর্টস ফাউন্ডেশন।

দুপুর ২টো থেকে শুরু হয় খেলা। প্রথমার্ধে খেলা চলাকালীনও প্রচুর দর্শককে মাঠে ঢুকতে দেখা যায়। এসকেএম দলে বেশির ভাগই ছিলেন স্থানীয় খেলোয়াড়। মোহনবাগান দলে ভিন্‌ রাজ্যের খেলোয়াড়ের সংখ্যা ছিল বেশি। শুরুতেই মোহনবাগানের খেলোয়াড়েরা মাঝমাঠের দখল নেন।ছোট ছোট পাশ খেলে বিপক্ষের বক্সে হানা দিতে শুরু করেন। খেলার ২৩ মিনিটের মাথায় সবুজ মেরুনের খেমিলাল খোংসাই বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে বিপক্ষের বক্সে ঢুকে পড়েন। তাঁকে আটকাতে গিয়ে ফাউল করে বসেন এসকেএমের এক খেলোয়াড়। রেফারি স্বর্ণেন্দু বাগচী পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করেন প্রেম হাঁসদা। এই অর্ধের শেষের দিকে ভেসে আসা বলে মাথা ছুঁইয়ে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন মোহনবাগানের মনু রাজবংশী।

গত দু’টি হোম ম্যাচে দারুণ ফুটবল খেলেছিল এসকেএম। এ দিন তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। শুরু থেকেই তাদের রক্ষণাত্মক লেগেছে। মাঝেমধ্যে প্রতি আক্রমণে এসে গোল করার চেষ্টা হলেও বিপক্ষের বক্সে লোক বাড়াতে না পারায় তা সফল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এসকেএম আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায়। তবে মোহনবাগানের রক্ষণ সজাগ থাকায় গোল করতে পারেনি তারা। এই অর্ধের ১৫ মিনিটের মাথায় ডান দিক থেকে আসা একটি বল বিপক্ষের বক্সে বুক দিয়ে নামিয়ে ডান পায়ের আলতো টোকায় নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোল করেন প্রেম। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে এসকেএমের খেলোয়াড়েরা কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়েন। দমে ঘাটতি দেখা যায়।এর পরে মোহনবাগান কোচ বেগি কারডোজ আক্রমণে লোক বাড়িয়ে গোল সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করেন। সুযোগ এলেও আর জালে বল ঠেলতে পারেনি মোহনবাগান। প্রতিযোগিতায় আগের দু’টি হোম ম্যাচে পুরো পয়েন্ট ঘরে তুলেছিল এসকেএম। খেলা শুরুর আগে মাঠে ব্যবহার করা হয়েছিল বিশেষ রোলার। আনা হয়েছিল ধারাভাষ্যকার। মাঠে ছিলেন আইএফএর সহ-সভাপতি সৌরভ পাল। সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতায় সুযোগ পাওয়া এসকেএম স্পোর্টস ফাউন্ডেশনের প্রশংসা করেন তিনি। মাঠে ছিলেন অতীতের তারকা গোলরক্ষক তনুময় বসু। এসকেএম স্পোর্টস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সুশীল মিশ্র খেলার পরে বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য গ্রাম থেকে খেলোয়াড় তুলে সর্বভারতীয় স্তরে খেলানো। এ দিন যারা খেলেছে, তার দশ জন বাঙালি ফুটবলার। মোহনবাগানের মতো দলের আমাদের খেলোয়াড়েরা অনেক কিছু শিখেছেন।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kalna

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy