Advertisement
০২ মে ২০২৪

প্রকাশ্যে খুন, অভিযুক্ত কাউন্সিলর

দিনের আলোয়, প্রকাশ্যে গুলি করে যুবককে খুনের ঘটনা ঘটল কাটোয়াতে। শনিবার ওই খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলর জঙ্গল শেখ-সহ মোট ১৮ জনের।

শোকার্ত পরিবার। শনিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

শোকার্ত পরিবার। শনিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৬ ০২:৩৯
Share: Save:

দিনের আলোয়, প্রকাশ্যে গুলি করে যুবককে খুনের ঘটনা ঘটল কাটোয়াতে। শনিবার ওই খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলর জঙ্গল শেখ-সহ মোট ১৮ জনের।

পুলিশ জানায়, এ দিন ভোর ছ’টা নাগাদ খাজুরডিহি মাদ্রাসাপাড়ার বাসিন্দা সাবির শেখ (২৪) নতুনহাটতলায় চা খেতে যান। আগে থেকেই সেখানে কয়েক জন সেখানে অপেক্ষা করছিল বলে অভিযোগ। খানিক বাদে একটি গাড়িতে করে আরও কয়েক জন আসার পরে সাবিরকে লক্ষ করে গুলি ছোড়া হয়।

গুলির শব্দে যুবকের মা ফিরোজা বিবি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। তাঁর কথায়, ‘‘বেরিয়ে দেখি ছেলেকে জঙ্গল শেখ,সাদ্দাম শেখ গুলি করল।’’ যুবেকর স্ত্রী নাসিমা বিবির অভিযোগ, ‘‘স্বামী মারা যাওয়ার পরেও গুলি চালায় টাইগার মল্লিক,আনারুল শেখ নামে কয়েক জন।’’ সাকিলা বিবি নামে যুবকের এক আত্মীয়ার দাবি, দুষ্কৃতীরা বোমা ছুড়তে ছুড়তে চম্পট দেয়। পুলিশের দাবি, বুকে ও পাঁজরে গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত সাবির বেশ কয়েকটি অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সিপিএম নেতা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘সুদপুরে-সহ বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ওই যুবক।’’

তৃণমূলের একাংশের মতে, এই খুনের পিছনে বিধায়ক-কাউন্সিলর গোলমালের রেশ থাকতে পারে। দলে সাবির বিধায়ক ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘সাবির আমাদের সমর্থক ছিল। ঘটনায় যে দোষী, তার শাস্তি পাওয়া উচিত।’’ জঙ্গল শেখ যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। ঘটনার সময়ে এলাকায় ছিলাম না।’’

এসডিপিও শচীন মাঁকড় বলেন, ‘‘এ দিনের ঘটনায় এক জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murder publicly
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE