কেতু্গ্রামের বারান্দা গ্রামে ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
রাতে আচমকা বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছিল পাড়া। দেখা যায়, একটি বাড়ির দরজার পাল্লা ভেঙে উড়ে গিয়ে পড়েছে পাশে ধানের গোলায়। শনিবার রাতে কেতুগ্রামের বারান্দা গ্রামে ওই বাড়ির এক মহিলা জখম হন। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, সে নিয়ে ধন্দে পুলিশ। তদন্তে সূত্র পেতে ফরেন্সিক দল আনা হচ্ছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেতুগ্রাম ২ ব্লকের বিল্বেশ্বর পঞ্চায়েতের বারান্দা গ্রামের বাসিন্দা শৈলেন মাঝির বাড়িতে শনিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। পেশায় দিনমজুর শৈলেনবাবু জানান, ওই ঘরে তাঁর বৃদ্ধা মা পদ্মদেবী ঘুমোচ্ছিলেন। বিকট আওয়াজ শুনে সবাই ছুটে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন। তিনি মাথা ও হাতে কিছুটা আঘাত পেয়েছেন। তবে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা জানাতে পারেননি।
খবর পেয়েই কেতুগ্রাম থানার পুলিশ এসে ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে। রাতেই এসডিপিও (কাটোয়া) ত্রিদিব ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশ তদন্তে নামে। কিন্তু কী কারণে এমনটা ঘটল, সে নিয়ে রবিবার রাত পর্যন্ত ধোঁয়াশা কাটেনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে বোমা বিস্ফোরণের চিহ্ন মেলেনি। ঘরে রাখা গ্যাস সিলিন্ডারও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তাঁরাও ধন্দে বলে দাবি শৈলেনবাবুর। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কী ঘটল, বুঝতে পারছি না। আমার সঙ্গে তো কারও বিবাদ নেই যে বোমা ছুড়বে!’’
শৈলেনবাবুর দুই ভাই শিশির মাঝি এবং মোহন মাঝি পাশের বাড়িতেই থাকেন। তাঁরা জানান, রাতে সবাই ঘুমোতে চলে গিয়েছিলেন। আচমকা বিস্ফোরণের শব্দে ঘুম ভাঙে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গিয়েছে, ওই ঘরের ভিতরে জিনিসপত্র লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। মশারির কিছুটা অংশ পোড়া। ঘরের দরজা ভেঙে টুকরো হয়ে বাইরে উড়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পরিবারটি দিনমজুরি করে সংসার চালায়। কী ভাবে ওই বাড়িতে এই ঘটনা ঘটল, সে নিয়ে তাঁরাও বিস্মিত বলে দাবি করেন। তাঁদের আরও দাবি, আওয়াজে লাগোয়া কয়েকটি বাড়িও কেঁপে ওঠে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ধ্রুব দাস বলেন, ‘‘কী কারণে এই ঘটনাটি ঘটল, আমরা এখনও বুঝতে পারছি না। আসল কারণ জানার জন্য ফরেন্সিক বিভাগকে খবর দেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy