তখন চলছে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র।
জলের সঙ্কট থেকে স্কুল না থাকার সমস্যা। রেশন কার্ড তৈরি করাতে গিয়ে হয়রানি থেকে খেলার মাঠের অভাব। পাণ্ডবেশ্বরের জোয়ালভাঙা গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে এমনই নানা সমস্যার কথা শুনলেন প্রশাসনের কর্তারা।
গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে বুধবার রাতে ওই বৈঠকে ছিলেন দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক কস্তুরী সেনগুপ্ত, পাণ্ডবেশ্বরের বিডিও নিশান্ত মুখোপাধ্যায় ও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সবিতা বাগদি। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সেই বৈঠকে ছিলেন মহকুমাশাসক। নানা সমস্যার কথা শুনে তা মেটানোর আশ্বাস দিলেন প্রশাসনের কর্তারা।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মিঠু মণ্ডল জানান, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পাইপলাইনে জল প্রায়ই মেলে না। শীতকাল থেকেই পুকুরের জল শুকোচ্ছে। এখন তা তলানিতে। মহকুমাশাসক প্রধানের কাছে জানতে চান, কেন সমস্যা মেটানো যায়নি। প্রধান বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
স্থানীয় বাসিন্দা বাবু বাসরি জানান, এলাকায় কোনও উচ্চ বিদ্যালয় নেই। প্রাথমিকের পরে এই বিরাট এলাকার পড়ুয়াদের যেতে হয় পাণ্ডবেশ্বরে। গরিব পরিবারের পড়ুয়াদের বাস ভাড়া দিয়ে যাওয়া সমস্যা হয়। তাই স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়ে। আর এক বাসিন্দা প্রদীপ মণ্ডল জানান, রেশন দোকানে নানা সময় প্রয়োজনীয় সব জিনিস মেলে না। নতুন রেশন কার্ড বানাতে গিয়ে হয়রান হতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বাসিন্দারা।
খগেন মণ্ডল নামে এক বাসিন্দা দাবি জানান, পাণ্ডবেশ্বরে রাখালচন্দ বালিকা বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ বাড়ানো দরকার। না হলে পড়ুয়াদের চাহিদা মিটছে না। শ্রেণিকক্ষের অভাবে অনেককে ভর্তি নিতে পারছেন না স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই পুরনো স্কুলে খেলার মাঠও নেই। মহকুমাশাসক বিডিওকে দাবিগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। বৈঠকে জল থেকে রাস্তা, বিদ্যুৎ-সহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন এলাকাবাসী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy