Advertisement
E-Paper

মাধ্যমিকের মাঝেই ছ’দিন আঁধারে বাথানবাড়ি

মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। সামনেই উচ্চমাধ্যমিক। এই পরিস্থিতিতে গত ছ’দিন ধরে বিদ্যুৎহীন সালানপুর ব্লকের বাথানবাড়ি গ্রাম। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের রূপনারায়ণপুর শাখা কার্যালয়ে বারবার সমস্যার কথা জানানো হলেও লাভ হয়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৮ ০০:৪৩
এই ট্রান্সফর্মারটিই বিকল পড়ে রয়েছে। নিজস্ব চিত্র

এই ট্রান্সফর্মারটিই বিকল পড়ে রয়েছে। নিজস্ব চিত্র

মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। সামনেই উচ্চমাধ্যমিক। এই পরিস্থিতিতে গত ছ’দিন ধরে বিদ্যুৎহীন সালানপুর ব্লকের বাথানবাড়ি গ্রাম। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের রূপনারায়ণপুর শাখা কার্যালয়ে বারবার সমস্যার কথা জানানো হলেও লাভ হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই গ্রামে বাসিন্দার সংখ্যা প্রায় হাজার দুয়েক। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত শনিবার বিকেল থেকে গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ওই দিনই খবর পাঠানো হয় রূপনারায়ণপুরের অফিসে। সেখান থেকে কর্মী, আধিকারিকেরা গ্রামে এসে অবস্থা ঘুরেও দেখে গিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অথচ, খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এ বার পাঁচ জন পড়ুয়া মাধ্যমিক দিচ্ছেন এই গ্রাম থেকে। তাঁদেরই এক জন প্রকাশ গড়াই বলেন, ‘‘রাতে মোম বা কুপি জ্বেলে পড়াশোনা করতে হচ্ছে।’’ বাসিন্দারা আরও জানিয়েছেন, এলাকায় এমনিতে বিদ্যুৎ-সমস্যা না থাকায় অধিকাংশ বাড়িতেই হ্যারিকেন বা কুপির মতো বিকল্প আলোর ব্যাবস্থা নেই। ফলে দুর্ভোগ আরও বে়ড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা কাঞ্চন লাহার দাবি, ‘‘পরীক্ষার্থীরা তো বটেই, আমাদেরও দুর্ভোগ বেড়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা স্বাভাবিক হোক।’’

পরীক্ষার মাঝে এমন বিপত্তির কথা জেনে সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামল মজুমদার জানান, তিনি পর্ষদের রূপনারায়ণপুর শাখার আধিকারিকদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।

কিন্তু কী কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই এলাকায়? রূপনারায়ণপুর শাখা-আধিকারিক জিতেন দাস জানান, ইঞ্জিনিয়ারেরা খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, এলাকার ট্রান্সফর্মারটি বিকল হওয়াতেই বিপত্তি। ফের নতুন ট্রান্সফর্মার বসাতে হবে। জিতেনবাবু বলেন, ‘‘নতুন ট্রান্সফর্মার জোগাড় করেছি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’ কিন্তু পাঁচ দিনেও ট্রান্সফর্মার বসানো গেল না কেন, সে প্রশ্ন করেছেন গ্রামবাসী। বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি জিতেনবাবু। যদিও এক পর্ষদকর্মী জানান, প্রাথমিক ভাবে বিকল ট্রান্সফর্মারটিই মেরামত করে লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তা সম্ভব নয় তা বুঝতেই আধিকারিকদের চার দিন পেরিয়ে গিয়েছে। নতুন ট্রান্সফর্মার জোগাড় করতে লেগেছে বকি সময়টা। গ্রামবাসীর এই দুর্ভোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার জেলা আধিকারিক শুভেন্দু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘খবর পাওয়ামাত্রই কাজ শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’’

Madhyamik Examination Electricity Village বাথানবাড়ি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy