এখানেই দুর্ঘটনা। নিজস্ব চিত্র।
রাস্তার উপরেই মরণফাঁদ। কিন্তু সে নিয়ে কারও কোনও হেলদোল নেই। আর তার ফল ভুগতে হয় পথচারীদের। সোমবার রাতে যেমন প্রাণ খোয়ালেন আসানসোলের পশ্চিম আপকার গার্ডেন এলাকার মহেন্দ্র রজক (৫০)।
আসানসোলে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের দিকে যেতে সেনর্যালে রোডের রেল টানেল পেরোনোর পরেই রয়েছে একটি নর্দমা। তার উপরের কালভার্টে কোনও গার্ডওয়াল নেই। বেশি বৃষ্টি হলে নর্দমার জল উপচে কালভার্টের উপর দিয়ে বয়ে যায়। তখন রাস্তা, কালভার্ট বা নর্দমার মধ্যে ফারাক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এ নিয়ে আগেও সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু ফল হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতেও বেশ বৃষ্টি হওয়ায় নর্দমার জল কালভার্টের উপর দিয়ে বইছিল। সেখান দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন মহেন্দ্রবাবু। বুঝতে না পারায় তিনি সাইকেল নিয়ে নর্দমায় পড়ে যান। আশপাশের বাসিন্দারা দৌড়ে গিয়েও বাঁচাতে পারেননি। জোলের তোড়ে ভেসে যান ওই প্রৌঢ়। পুলিশ ও দমকলে খবর দেওয়া হলেও তারাও রাত পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু হদিস মেলেনি। মঙ্গলবার সকালে ঘাগরবুড়ি মন্দিরের কাছে গারুই নদী থেকে তাঁর দেহ মেলে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রায়ই ওই কালভার্টে দুর্ঘটনা ঘটে। ছাত্রছাত্রী বোঝাই ছোট-বড় গাড়ি বিভিন্ন স্কুলে যায় এই রাস্তা দিয়ে। তাঁদের দাবি, কালভার্টে গার্ডওয়াল তোলা হোক। প্রশাসনের আশ্বাস, সেনর্যালে রোড চওড়া করা হচ্ছে। কালভার্টটিও সংস্কার হবে। তখন নিয়মমতো গার্ডওয়াল তোলা হবে। মহকুমাশাসক অমিতাভ দাস বলেন, ‘‘পূর্ত দফতরকে ব্যবস্থা নিতে বলছি।’’ পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওখানে আপাতত অস্থায়ী গার্ডওয়াল তোলা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy